সাতক্ষীরার কলারোয়ায় প্রতারণার অভিযোগে এক আম ব্যবসায়ির ৫০ ক্যারেটে ভর্তি ১২৫০ কেজি বোম্বাই আম আটকের পর তা এতিম খানায় বিতরণ করা হয়েছে। বুধবার (৩ মে) বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে আটকের পর উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে এসব আম বিতরণের এই আদেশ দেন।
কলারোয়া উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে বুধবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে কলারোয়া উপজেলার সোনাবাড়িয়া এলাকায় অভিযান চালিয়ে ৫০ ক্যারেটে ভর্তি ১২৫০ কেজি বোম্বাই আম আটক করা হয়। এ সময় আম ব্যবসায়ি রবিউল ইসলামের কাছে আম সংগ্রহ করার প্রত্যায়ন পত্র দেখতে চাইলে তিনি পার্শ্ববর্তী যশোর জেলার শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসের একটি প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করেন।
কলারোয়া উপজেলা থেকে আম সংগ্রহ করে শার্শা উপজেলা কৃষি অফিসের প্রত্যায়ন পত্র দাখিল করায় ব্যবসায়ির বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ উঠে। এসময় আমগুলো জব্দ করে উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অফিস চত্তরে আনা হয়। পরে বেলা সাড়ে ৩ টার দিকে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ও নিবার্হী ম্যাজিস্ট্রেট রুলী বিশ্বাস ভ্রাম্যমাণ আদালত পরিচালনা করে জব্দকৃত সকল আম উপজেলার বিভিন্ন এতিম খানায় বিতরণ করে এতিম শিশুদের মৌসুমী ফল (আম) খাওয়ার সুযোগ করে দেয়ার আদেশ দেন।
এদিকে নির্ধারিত সময়ের আগে অপরিপক্ক আম বাজারজাত করার অভিযোগে সাতক্ষীরা শহরের পিটিআই মাঠে অসাধু ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসনের দুই হাজার কেজি অপরিপক্ক ন্যাংড়া আম আটকের পর বিনষ্ট করলেন নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার। বুধবার (৩ মে) সন্ধ্যা ৬টার দিকে এই আম বিনষ্ট করা হয়। এসময় অসাধু ব্যবসায়ী ইলিয়াস হোসেনকে ১৫ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে সাতক্ষীরা শহরের সুলতানপুর বড়বাজার সংলগ্ন মাঠে অভিযান চালিয়ে এই আম জব্দ করা হয়।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সজীব তালুকদার বলেন, সঠিক সময়ে আম বাপজারজাত করার জন্য জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে একটি আম ক্যালেন্ডার ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু কিছু অসাধু ব্যবসায়ি অধিক মুনাফা লাভের আশায় অপিরপক্ক আম পেড়ে ক্যামিকেল দিয়ে পাকিয়ে তা বাজারজাত করার চেষ্টা করছে।
তিনি বলেন, সাতক্ষীরা প্রশাসন অপরিপক্ক কেমিক্যাল যুক্ত আম বাজারাজাত করতে দেবে না। অসাধু ব্যবসায়ীদের বিরুদ্ধে এ অভিযান চলবে।
খুলনা গেজেট/এনএম