বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকারকে বেআইনি কর্মকাণ্ড থেকে বারবার সরে আসার আহ্বান জানালেও নিজেদের অস্তিত্বের প্রশ্নে সরকার তাতে কর্ণপাত করছে না। উল্টো সরকার বেপরোয়া ও হিংস্র হয়ে উঠেছে। আজ মঙ্গলবার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে তিনি এসব অভিযোগ করেন।
সরকারকে উদ্দেশ্য করে তিনি বলেন, গণতন্ত্রকে অবরুদ্ধ করে একটা স্বাধীন দেশে অবৈধভাবে দীর্ঘ সময় শাসন করা যাবে না। সরকারের এই বোধোদয়ের এখনও সময় আছে। অনৈতিক কর্মকাণ্ড ও ভয়াবহ দুঃশাসনের কারণে ইমেজ সংকটে নিপতিত বর্তমান সরকারের ফ্যাসিবাদী আচরণ তাদেরকে ক্রমেই আরও জনবিচ্ছিন্ন করে তুলছে। সরকার এ সত্যটি যত দ্রুত অনুধাবন করতে সক্ষম হবেন তাদের জন্য সেটিই হবে মঙ্গল।
বিএনপি মহাসচিব বলেন, সরকার দেশের আইনকানুন ও বিচারিক ব্যবস্থাকে করায়ত্ত্বে নিয়ে বিএনপি এবং এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনসহ বিরোধী দলগুলোর নেতাকর্মীদেরকে কারাদণ্ডে দণ্ডিত, জামিন আবেদন নামঞ্জুর করে কারাগারে প্রেরণসহ রাজনৈতিক বন্দিকে সময়মতো মুক্তি না দিয়ে নানা টালবাহানায় তাদের আটকে রাখছে। এরপর কেউ জামিন নিয়ে মুক্তিলাভ করলেও কারাফটক থেকে নিত্য-নতুন সাজানো মিথ্যা মামলায় গ্রেপ্তার দেখিয়ে পুনরায় আটক করে তাদের জেলে পুরছে।
তিনি আরও বলেন, ‘অসত্য মামলায় আজ বিএনপি জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য ও সিরাজগঞ্জ জেলা বিএনপি’র সাধারণ সম্পাদক সাইদুর রহমান বাচ্চুসহ সিরাজগঞ্জ বিএনপি এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের ৬ জন নেতাকর্মীর জামিন বাতিল করে কারাগারে প্রেরণ, গতকাল মিথ্যা ও বানোয়াট মামলায় কারাবন্দি ঢাকা মহানগর উত্তর জাতীয়তাবাদী স্বেচ্ছাসেবক দলের সাধারণ সম্পাদক আজিজুর রহমান মুসাব্বির জামিনে মুক্ত হয়ে কেরানীগঞ্জ কারাগার থেকে বের হলে কারাফটক থেকে আবারও তাকে গ্রেপ্তার, গতকাল মহান মে দিবসে খুলনা মহানগর শ্রমিক দলের র্যালিতে পুলিশি হামলা ও মহানগর শ্রমিক দলের সদস্য সচিব শফিকুল ইসলাম শফিকে গ্রেফতার বর্তমান অবৈধ সরকারের চলমান দুঃশাসনের নিরবচ্ছিন্ন অংশ।
ফখরুল বলেন, উল্লিখিত নেতৃবৃন্দের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত বানোয়াট ও রাজনৈতিক উদ্দেশ্যপ্রণোদিত মামলা প্রত্যাহারসহ অবিলম্বে তাদের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি করছি।
খুলনা গেজেট/এনএম