চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগের সদস্য ও যুবলীগের সাবেক সদস্য এবং শিবগঞ্জ পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের সাবেক কাউন্সিলর খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে হত্যা করেছে দুর্বৃত্তরা।
বুধবার (১৯ এপ্রিল) সন্ধ্যায় জেলা শহরের উদয়ন মোড়ে এ ঘটনা ঘটে। নিহত খায়রুল আলম জেম (৪৮) শিবগঞ্জ পৌর এলাকার মর্দনা গ্রামের মাইনুল আহসানের ছেলে।
সদর হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ইনচার্জ ডা. মুনিরা খাতুন বলেন, ‘সন্ধ্যায় গুরুতর আহত অবস্থায় জেমকে হাসপাতালে আনা হয়। প্রাথমিক চিকিৎসা চলাকালে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে তার মৃত্যু হয়। তার শরীরের বিভিন্ন স্থানে গভীর জখম ও মাথায় অস্ত্রের গুরুতর আঘাত রয়েছে। এতে রক্তশূন্য হয়ে মারা যান।’
চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর মডেল থানার ওসি সাজ্জাদ হোসেন বলেন, ‘শহরের উদয়ন মোড় এলাকায় খায়রুল আলম জেমকে কুপিয়ে জখম করে কয়েকজন দুর্বৃত্ত। তাকে স্থানীয়রা উদ্ধার করে জেলা হাসপাতালে নিলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।’
ঘটনার পর রাতে সদর হাসপাতালে জেমকে দেখতে যান সদর আসনের এমপি আব্দুল ওদুদ। এ সময় তিনি এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমান ও ঢাকার ডিআইজি নুরুল ইসলাম এবং স্থানীয় পুলিশ প্রশাসনকে দায়ী করেন। সেইসঙ্গে হত্যাকাণ্ডের সুষ্ঠু তদন্ত ও বিচারের দাবি জানান।
এ সময় তিনি বলেন, ‘পৌর মেয়র ও ডিআইজি দীর্ঘদিন ধরে তাকে মেরে ফেলার হুমকি দিচ্ছিলেন। এ ঘটনায় ফেসবুকে লাইভ করেছিল জেম। যেকোনো কারণে পুলিশ তাকে নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ জন্য হত্যাকাণ্ডের দায় এড়াতে পারে না পুলিশ। দীর্ঘদিন ধরে ডিআইজি নুরুল ইসলামের অত্যাচার ও হামলা-মামলায় হয়রানির শিকারের কথা জানিয়েছিল জেম।’
এদিকে, হত্যাকাণ্ডের পর দলীয় নেতাকর্মীরা হাসপাতালে ভিড় জমান। পরে তারা ন্যায় বিচারের দাবিতে থানার সামনে বিক্ষোভ করেন। পুলিশ সুষ্ঠু বিচারের আশ্বাস দিলে নেতাকর্মীরা সেখান থেকে সরে আসেন।
পৌর যুবলীগের ভাইস প্রেসিডেন্ট শহিদুল ইসলাম শহিদ বলেন, ‘পৌর মেয়র মোখলেসুর রহমানের নির্দেশে তার বাহিনীর সদস্য পৌর কৃষক লীগের সাধারণ সম্পাদক মেসবাউল হক টুটুল, ইব্রাহিম, রানা ও শামীমসহ আরও কয়েকজন মিলে এ হত্যাকাণ্ড ঘটায়। আমরা হত্যাকাণ্ডের বিচার চাই।’
খুলনা গেজেট/কেডি