খুলনায় ইজিবাইক চালক মো: রাফি ইসলাম হত্যাকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে পুলিশ ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে। সোমবার নগরীর জিরোপয়েন্ট এলাকা থেকে তাদের গ্রেপ্তার করা হয়। পরে তাদের কাছ থেকে একটি ছুরি উদ্ধার করা হয়।
গ্রেপ্তার হওয়া ৫ জন হল, সাব্বির, সজীব, রহিম ও স্বপন। ৪ জনের স্বীকারোক্তি মোতাবেক নগরীর ময়লাপোতা ডালমিল এলাকা থেকে আরিফ শেখকে গ্রেপ্তার করা হয়।
লবণচরা থানার অফিসার ইনচার্জ মো: এনামুল হক বলেন, রাতে গ্রেপ্তার হওয়া প্রথম ৪ জন ইজিবাইকে করে লবণচরা এলাকার বিভিন্নস্থানে ঘুরতে থাকে। এটা দেখে কর্তব্যরত পুলিশ কর্মকর্তাদের সন্দেহ হয়। তখন তাদের আটক করে উর্ধতন কর্মকর্তাদের খবর দিলে তাদের থানায় নেওয়া হয়। এ সময়ে তাদের কাছ থেকে একটি ছুরিও উদ্ধার করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা সম্প্রতিক সময়ে লবণচরা এলাকায় ইজিবাইক চালক রাফি হত্যাকাণ্ডে নিজেদের সম্পৃক্ততার কথা স্বীকার করে। হত্যাকাণ্ডের পর রাফির ইজিবাইকটি পার্ট পার্ট করে বটিয়াঘাটা এলাকায় বিক্রি করে দেয়। ইজিবাইকের ব্যাটারীও উদ্ধার করা হয়েছে। ব্যাটারী ক্রোতা আরিফ শেখকে নগরীর ডালমিল এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়।
খুলনা মেট্রো উপ-পুলিশ কমিশনার দক্ষিণ তাজুল ইসলাম খুলনা গেজেটকে বলেন, গ্রেপ্তার হওয়া সকলে ছিনতাইকারী চক্রের সদস্য। রাত হলেই তারা ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য রাস্তায় বের হয়। সোমবার রাতে ইজিবাইক ছিনতাইয়ের জন্য ইজিবাইকে চড়ে ঘুরছিল। ফাঁকা স্থান পেয়ে চালককে হত্যা করে ইজিবাইক ছিনিয়ে নিত। কিন্তু আমাদের পুলিশের তৎপরতার কারণে তাদের মিশন সফল হয়নি। পুলিশ ৪জনকে গ্রেপ্তার করে থানায় নেওয়ার পর ইজিবাইক ছিনতাই ও রাফি হত্যার জট খোলে। রাফি হত্যাকাণ্ডটি একটি ক্লু লেস। হত্যার রহস্য উন্মোচনের জন্য পুলিশ যখন আপ্রাণ চেষ্টা করছিল ঠিক তখনই তারা পুলিশের কাছে ধরা দেয়।
তিনি আরও বলেন, এরা মূলত ব্যাটারির জন্য চালকদের হত্যা করে। পরে তা খন্ড খন্ড করে বিভিন্নস্থানে বিক্রি করে দেয়। ইজিবাইকের উপরের অংশ বটিয়াঘাটা ও ব্যাটারি নগরীর ডালমিল মোড় এলাকায় জনৈক আরিফ শেখের কাছে বিক্রি করে। আরিফকে এ মামলায় গ্রেপ্তার দেখানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড