খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  কিশোরগঞ্জের ভৈরবে বাসা থেকে ২ সন্তানসহ বাবা-মায়ের মরদেহ উদ্ধার
  কুমিল্লায় অটোরিকশায় ট্রেনের ধাক্কায় নিহত বেড়ে ৭
গরমে বেড়েছে তরমুজের চাহিদা

কৃষকের লাভের হাসি, খুচরা বিক্রেতার পোয়াবারো

নিজস্ব প্রতিবেদক

তীব্র তাপদাহের কারণে হঠাৎ করে বেড়ে গিয়েছে তরমুজের চাহিদা। সে কারণে দামও বেড়ে গেছে। শেষ সময়ে এসে তরমুজ বিক্রি করে লাভের মুখ দেখতে শুরু করেছে খুলনার কৃষকরা। তবে ৪ মাস রোদে পুড়ে হাড় ভাঙা খাটুনি করে কৃষক যে মুনাফা করছে, তার থেকে তিনগুণ মুনাফা করছে খুচরা ব্যবসায়ীরা।

দেখা গেছে, খুলনার পাইকারি মোকাম কদমতলায় সোমবার মাঝারি সাইজের তরমুজ গড়ে বিক্রি হয়েছে (১০০ পিস) ৬ হাজার টাকায়। অর্থ্যাৎ ছোট-বড় সব তরমুজের গড় মূল্য প্রতি পিস ৬০ টাকা। মাত্র এক কিলোমিটার দূরে নগরীর ময়লাপোতা মোড়ে ভ্যান ও ফলের দোকানে সেই তরমুজ বিক্রি হয়েছে ২০০ থেকে ২২০ টাকায়।

কৃষি বিভাগে খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, এ বছর খুলনায় ১২ হাজার ২২৫ হেক্টর জমিতে তরমুজ চাষ হয়েছে। এর মধ্যে দাকোপ উপজেলাতেই চাষ হয়েছে ৬ হাজার ৩২০ হেক্টর জমিতে। অন্যান্য জেলার তরমুজ এর আগেই বিক্রি হয়ে গেছে। এখন দাকোপ উপজেলার তরমুজই ঢাকাসহ বিভিন্ন জেলায় যাচ্ছে।

নগরীর কদমতলা মোকাম ঘুরে দেখা গেছে, বাজারে অন্য জেলার তরমুজ নেই। গরমে চাহিদা বাড়ায় সবাই তাকিয়ে আছে দাকোপের তরমুজের দিকে। পাইকারী ব্যবসায়ীরা অনেকে দাকোপে গিয়ে তরমুজ কিনে নিয়ে আসছে। দাকোপের তরমুজ আকারে ছোট।

কৃষকরা জানান, দুইভাবে তরমুজ বিক্রি হয়। ঢাকা থেকে ব্যবসায়ীরা দাকোপে এসে মাঠ থেকে সরাসরি তরমুজ কেনেন। তারাই ট্রাকে করে তরমুজ নিয়ে যান। চলতি সপ্তাহে ছোট আকারের তরমুজ (৩-৫ কেজি) প্রতি বিঘা বিক্রি হয়েছে ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা। একই তরমুজ গত বছর বিক্রি হয়েছে ৩০/৩৫ হাজার টাকা। এছাড়া বড় আকারের (৮ কেজির ওপরে) তরমুজ বিক্রি হচ্ছে ১ লাখ টাকায়।

এছাড়া কিছু কৃষক নিজেই তরমুজ নিয়ে খুলনার কদমতলায় পাইকারী বিক্রি করেন। পাইকারী তরমুজ বিক্রি হয় পিস হিসেবে। ছোট আকারের তরমুজ (৩-৫ কেজি) প্রতি বিক্রি সোমবার বিক্রি হয়েছে ৫০/৬০ টাকা পিস। বড় তরমুজ বিক্রি হয়েছে ৮০ টাকা পিস।

দাকোপ উপজেলার পানখালী ইউনিয়নের কৃষক আজগর হোসেন জানান, শুরুতে প্রতি বিঘা ৪০/৪৫ হাজার টাকায় বিক্রি হবে বলে তারা আশা করেছিলেন। কিন্তু এখন দাম ৭০ হাজারের ওপর। এতে কৃষকরা খুশি।

দাকোপ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কে এম মাকসুদুন্নবী জানান, সোমবার পর্যন্ত আড়াই হাজার হেক্টর জমির তরমুজ বিক্রি হয়েছে। প্রতিদিন ৫০০/৬০০ হেক্টর জমির তরমুজ সংগ্রহ হচ্ছে। বেশিরভাগ তরমুজই ঢাকায় যাচ্ছে। ঈদের আগেই ৮৫ শতাংশ তরমুজ বিক্রি করা হবে।

কৃষকরা জানান, তরমুজ বিক্রিতে বড় বাঁধা হয়ে দেখা দিয়েছে পরিবহনে চাঁদাবাজি। প্রতিদিন অসংখ্য ট্রাক তরমুজ পরিবহনের জন্য দাকোপ থেকে বিভিন্ন রুটে যাচ্ছে। প্রায় মোড়ে তারা চাঁদাবাজির শিকার হচ্ছে। এ থেকে পরিত্রাণের দাবি জানিয়েছেন কৃষকরা।




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!