২০১৩ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় দাতব্য প্রতিষ্ঠান বিদ্যানন্দ ফাউন্ডেশন। প্রতিষ্ঠার পর থেকে নানা কারণে আলোচিত হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। গরিব-দুঃখী ও সুবিধাবঞ্চিত মানুষের পাশে দাঁড়ানোর জন্য প্রতিষ্ঠানটি সর্বমহলে বেশ প্রশংসিত হয়েছে। মানব সেবায় তাদের ভালো ভালো কাজ দেখে দেশ-বিদেশ থেকে এসেছে বহু মানুষের বিপুল অর্থ সহায়তা।
মানুষের কাছ থেকে পাওয়া সহায়তার অর্থ দিয়ে বিদ্যানন্দ ১ টাকায় আহারসহ নানা সেবামূলক কর্মসূচি পালন করে। রমজান মাসে তারা বিনামূল্যে ইফতার বিতরণ, গরু জবাই করে সুবিধাবঞ্চিতদের খাওয়ানোর ব্যবস্থা করেছে। এছাড়া বিভিন্ন করোনা মহামারিসহ নানা প্রাকৃতিক ও মানবসৃষ্ট দুর্যোগে তারা বিভিন্নভাবে সুবিধা বঞ্চিতদের পাশে দাঁড়িয়েছে।
সম্প্রতি এ প্রতিষ্ঠানটি নানা কারণে মানুষের সমালোচনার মুখে পড়েছে। বিদ্যানন্দের নতুন-পুরোনো অনেক পোস্ট নিয়ে অনলাইনে চলছে সমালোচনা ও ট্রল। বর্তমানে ‘মজিদ চাচা’ নাম নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সমালোচনা ও ট্রল চলছে।
প্রতিষ্ঠানটির হেড অব কমিউনিকেশনস সালমান খান ইয়াসিন গণমাধ্যমকে বলেন, আমাদের ফেসবুক পেজে যা লিখি তা অন্য সব প্রতিষ্ঠানের মতো ফর্মাল বা আনুষ্ঠানিক কিছু নয়। আমরা লিখি মানুষের দুঃখ দুর্দশা ও বঞ্চনার গল্প। এখন প্রশ্ন উঠতে পারে আমরা এই গল্পগুলো কোথা থেকে সংগ্রহ করি। আমরা যখন মাঠে-ঘাটে কাজ করতে যাই, তখন এসব গল্প আমরা পাই। সেসব মানুষের চরিত্রটা ফুটিয়ে তুলতে সরাসরি নাম ব্যবহার না করে প্রতীকী নাম ব্যবহার করি। এমন কিছু নাম ব্যবহার করা হয় যে নামগুলো সবার পরিচিত। যাতে মানুষ নামগুলো পড়ে নিজেদের সঙ্গে মেলাতে পারে। তেমন একটি নাম মজিদ চাচা। এই নামটি সবার সঙ্গে পরিচিত নাম। সে জন্য আমাদের বিভিন্ন গল্পে প্রতীকী অর্থে মজিদ চাচার নাম ব্যবহার করা হয়েছে। প্রতীকী নামের বিষয়ে বিভিন্ন সময় আমরা বলেছি। আমরা এমন নাম ব্যবহার করি যেন কোনো বিতর্কের সৃষ্টি না হয়। সূত্র: ঢাকা পোস্ট।
খুলনা গেজেট/এমএম