দুই সপ্তাহ ধরে দেশব্যাপী বইছে তাপপ্রবাহ। প্রতিদিনই একের পর এক রেকর্ড গড়ছে রাজধানী ঢাকাসহ কয়েকটি জেলার তাপমাত্রা। তীব্র গরমে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে জনজীবন। হাঁসফাঁস করছে প্রাণীকুল। এরমধ্যে তাপমাত্রা আরও বাড়ার খবর দিয়েছে আবহাওয়া অফিস। আবহাওয়া বার্তায় বলা হয়েছে, আজ রোববারও রাজধানী ঢাকা ও আশপাশের এলাকায় তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে। আগামী ৩ দিনের মধ্যে আবহাওয়া সামান্য পরিবর্তন হতে পারে বলেও জানানো হয়েছে।
সারা দেশের আকাশ আংশিকভাবে মেঘলাসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে। রোববার (১৬ এপ্রিল) সকালে বিষয়টি জানিয়েছেন আবহাওয়া অধিদপ্তরের আবহাওয়াবিদ শাহীনুর ইসলাম।
বেলা ১১টার আবহাওয়ার পূর্বাভাসে বলা হয়েছে, অস্থায়ীভাবে আংশিক মেঘলা আকাশসহ সারা দেশের আবহাওয়া শুষ্ক থাকতে পারে।
এছাড়া ঢাকা, ফরিদপুর, মানিকগঞ্জ, পাবনা, বাগেরহাট, যশোর, চুয়াডাঙ্গা ও কুষ্টিয়া জেলার ওপর দিয়ে তীব্র তাপ প্রবাহ বয়ে যাচ্ছে। দেশের অন্যত্র মৃদু থেকে মাঝারি ধরনের তাপপ্রবাহ বয়ে যাচ্ছে এবং তা অব্যাহত থাকতে পারে। সারা দেশে দিনের তাপমাত্রা প্রায় অপরিবর্তিত থাকতে পারে এবং রাতের তাপমাত্রা সামান্য বৃদ্ধি পেতে পারে।
বর্তমানে ঢাকার বাতাসের গতিবেগ ৬ থেকে ১২ কিলোমিটার। যা পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিক থেকে বয়ে চলছে।
এদিকে গতকাল ঢাকায় তাপমাত্রা ছিল ৪০.৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। যা ১৯৬৫ সালের পর সর্বোচ্চ।
১৯৭২ সালে রাজশাহীতে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪৫.১ ডিগ্রি সেলসিয়াস। আর গতকাল চুয়াডাঙ্গায় তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৪২.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস। চুয়াডাঙ্গায় পরিস্থিতি এতটাই নাজুক যে প্রয়োজন ছাড়া বাড়ির বাইরে যেতে না করেছে প্রশাসন।
রোদের তাপে গলছে সড়কের পিচ। দেশের বিভিন্ন স্থানে বৃষ্টির জন্য ফরিয়াদ করছেন মানুষ। চুয়াডাঙ্গার উপর দিয়ে বয়ে যাচ্ছে তীব্র তাপদাহ। শনিবার দেশের সর্বোচ্চ তাপমাত্রা ৪২ দশমিক ২ ডিগ্রি সেলিসয়াস রেকর্ড করা হয়েছে চুয়াডাঙ্গায়। এ সময় বাতাসের আদ্রতা ছিল ১৬ শতাংশ। প্রয়োজন ছাড়া ঘর থেকে বের না হওয়ার পরামর্শ দিয়ে প্রচারণা চালাচ্ছেন জেলা প্রশাসন। আরও এক সপ্তাহ এমন তাপদাহ থাকতে পারে বলে জানিয়েছে চুয়াডাঙ্গা আবহাওয়া অফিস।
খুলনা গেজেট/এনএম