প্রচণ্ড গরমে হাঁসফাঁস অবস্থা। এই সময়ে স্বাস্থ্যেরও যেমন যত্ন নেওয়া প্রয়োজন, তেমন ত্বকেরও প্রয়োজন বিশেষ যত্নের। গরম পড়তেই ত্বকের নানা সমস্যা দেখা দিতে শুরু করে। ত্বকের অতিরিক্ত তেল নিঃসরণ হয়। এতে প্রদাহ দেখা দেয়। মুখে ব়্যাশ-চুলকানিও হতে পারে।
এই সময়ে ত্বকের সঠিক যত্ন না নিলে নানা সমস্যা হতে পারে। গত কয়েক বছরে ত্বকের যত্নে এসেনশিয়াল অয়েলের জনপ্রিয়তা বেড়েছে। এসব তেলে প্রচুর গুণাগুণ রয়েছে। রোদে পুড়ে যাওয়া ত্বকের কালচে ভাব দূর করতে এসেনসিয়াল অয়েলের ওপর নির্ভর করতে পারেন। যেমন-
টি ট্রি অয়েল: টি ট্রি অয়েলে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল এবং অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান থাকায় এটি ত্বকের জন্যে খুবই ভালো। এই তেল ত্বকের প্রদাহ কমায়। যেকোনও ধরনের সংক্রমণ সারায়। বিশেষ করে ব্রণের সমস্যা সারাতে এই তেল বেশ উপকারী।
রোদে পোড়া ভাব থেকে ত্বককে রক্ষা করে টি-ট্রি অয়েল। ত্বকে ভিতর থেকে আর্দ্রতার জোগান দেয়। ২০১৬-এ প্রকাশিত এক গবেষণার তথ্য অনুযায়ী, টি-ট্রি অয়েল ও রেসভেরেট্রল একসঙ্গে মিশিয়ে ত্বকে লাগালে সূর্যের ক্ষতিকারক রশ্মি থেকে ত্বককে রক্ষা করা যায়।
ল্যাভেন্ডার অয়েল: প্রতিদিনের রূপচর্চায় যোগ করতে পারেন ল্যাভেন্ডার অয়েল। এই এসেনশিয়াল অয়েলে আছে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট। ফলে, ত্বকের টক্সিন বের করে দিয়ে প্রাকৃতিক উজ্জ্বলতা ফেরায়।
ল্যাভেন্ডার অয়েলে এমন কিছু উপাদানও আছে যা, ত্বকের ক্ষত সারিয়ে তোলে। এর অ্য়ান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান ত্বকের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। থবে অন্য তেল যেমন- নারিকেল তেলে সঙ্গে মিশিয়ে ল্যাভেন্ডার অয়েল ত্বকে ব্যবহার করতে পারেন। ল্যাভেন্ডার অয়েলের ফেস মিস্ট ব্যবহার করুন। ফেসপ্যাকেও ব্যবহার করতে পারেন এই এসেনশিয়াল অয়েল।
লেমনগ্রাস অয়েল: লেমনগ্রাস অয়েলে প্রচুর পরিমাণে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি উপাদান আছে। অ্যান্টি-ফাঙ্গাল উপাদানও আছে। এ কারণে গরমে ত্বকের জ্বালাভাব, চুলকানির মতো প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে লেমনগ্রাস অয়েল।
রোজ অয়েল: ত্বকের আর্দ্রতা ধরে রাখার জন্যে গোলাপ জল কার্যকরী ভূমিকা পালন করে। এটি ব্যবহারে ত্বকের উজ্জ্বলতাও বাড়ে। একইভাবে ত্বকের যত্নে রোজ অয়েলও উপকারী। এই তেল ব্যবহারে ত্বকের নানা সমস্যা সমাধান হবে। মুখের জ্বালাভাব কমবে। রোদের পোড়া ভাব সারিয়ে তুলবে এই এসেনশিয়াল অয়েল।
খুলনা গেজেট/এনএম