দেশের মোট জনসংখ্যার মধ্যে ৮৬ হাজার মানুষ কোনো লিঙ্গের নয় বলে জানিয়েছে বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো (বিবিএস)। জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে। যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি তারা পুরুষ-নারী নাকি তৃতীয় লিঙ্গের কোনো কিছুই শনাক্ত করতে পারেনি বিবিএস।
রোববার (৯ এপ্রিল) দুপুরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে বিবিএস কর্তৃক একটি সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করা হয়। পরিকল্পনা মন্ত্রী এম. এ. মান্নান ও পরিকল্পনা প্রতিমন্ত্রী সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলন। সংবাদ সম্মেলনে জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এর প্রকল্প পরিচালক মো. দিলদার হোসেন শুমারিতে গণনা করা এবং পিইসির মাধ্যমে সমন্বয়কৃত মোট জনসংখ্যার তুলনামূলক চিত্র উপস্থাপন করেন।
এ সময় আরও উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ ড. শাহনাজ আরেফিন এবং বিআইডিএস মহাপরিচালক ড. বিনায়ক সেন। এছাড়াও সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন পরিসংখ্যান ও তথ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগ, বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরো ও বিআইডিএসের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এবং ডেভেলপমেন্ট জার্নালিস্ট ফোরাম অব বাংলাদেশ (ডিজেএফবি) এর সাংবাদিকবৃন্দ।
প্রাথমিক প্রতিবেদন অনুযায়ী দেশে পুরুষের সংখ্যা ছিল ৮ কোটি ১৭ লাখ ১২ হাজার ৮২৪ জন, নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৩৩ লাখ ৪৭ হাজার ২০৬ জন এবং তৃতীয় লিঙ্গের মানুষের সংখ্যা ১২ হাজার, ৬২৯ জন। পিইসি জরিপ অনুসারে পুরুষের ২.৮১ শতাংশ, সে হিসেবে সমন্বয়কৃত পুরুষের সংখ্যা ৮ কোটি ৪০ লাখ ৭৭ হাজার ২০৩ জন; নারী ২.৬৯ শতাংশ, সে হিসেবে সমন্বয় করা নারীর সংখ্যা ৮ কোটি ৫৬ লাখ ৫৩ হাজার ১২০ জন।
উল্লেখ্য, তৃতীয় লিঙ্গের জনসংখ্যা খুব কম হওয়ায় তার হিসাব করা সম্ভব হয়নি। দেশে তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠী ১২ হাজার ৬২৯ জন। এছাড়াও জনশুমারি ও গৃহগণনা ২০২২ এ ১৭ হাজার ৫০৭টি খানার ৮৫ হাজার ৯৫৭ জনের আংশিক তথ্য পাওয়া গেছে, যাদের লিঙ্গসহ অন্যান্য ব্যক্তিগত তথ্য পাওয়া যায়নি। বিষয়টি শুমারির প্রাথমিক প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। এই জনসংখ্যারও হিসাব করা সম্ভব হয়নি বিধায় তাদেরকে ব্যালেন্স পপুলেশন হিসেবে গণনাকৃত ও সমন্বয়কৃত উভয় অংশে যোগ করা হয়েছে।
বিবিএস মহাপরিচালক মো. মতিয়ার রহমান বলেন, আমরা জনশুমারিতে নারী, পুরুষ ও তৃতীয় লিঙ্গের জনগোষ্ঠীর সংখ্যা বের করেছি। কিন্তু ৮৫ হাজার জনের কোনো লিঙ্গভিত্তিক পরিচয় পাওয়া যায়নি, ফলে এদের ব্যালেন্স পপুলেশন হিসেবে সমন্বয় করেছি।
খুলনা গেজেট/ এসজেড