বিদ্যুৎ, গ্যাস ও নিত্যপ্রয়োজনীয় জিনিসের মূল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদসহ ১০ দফা দাবিতে খুলনায় বিএনপির অবস্থান কড়মসূচি পালিত হয়েছে। শনিবার (৮ এপ্রিল) বিকাল ৩টা থেকে ৫টা পর্যন্ত খুলনা প্রেসক্লাব চত্ত্বরে এই কর্মসূচি পালন করেছে দলটি।
এতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে বিএনপির তথ্য বিষয়ক সম্পাদক আজিজুল বারী হেলাল বলেছেন, সরকার বিএনপিকে নির্বাচনে চাচ্ছে, আবার সংবিধান সম্মত নির্বাচনের দাবি করছে। তারা নিজেদের ক্ষমতাকে নিরঙ্কুশ করতে সংবিধানকে ইচ্ছামতো কাটাছেড়া করেছে। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা সংবিধান স্বীকৃত দাবি করে তিনি বলেন, সরকার সংবিধানের দোহাই দেবে, আবার দিনের ভোটে রাতে করবে। সুপ্রিম কোর্টের নির্বাচনে ব্যালট ভরে রাখবে, প্রতিদ্বন্দী প্রার্থীকে পুলিশ দিয়ে মারপিট করবে। এটা সংবিধানের কোথায় আছে, প্রশ্ন রাখেন তিনি?
সংযমের মাস রমজানে বিএনপি জনদূর্ভোগ দূর করার দাবিতে জনসম্পৃক্ত ও নিরীহ আন্দোলন কর্মসূচি পালন করছে। কিন্ত সরকার সেই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচিও সহ্য করতে না পেরে পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে নেতাকর্মীদের গণহারে গ্রেপ্তার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করছে বলে অভিযোগ করেন হেলাল।
তিনি বলেন, বিএনপির এই শান্তিপূর্ণ কর্মসূচি উত্তুঙ্গ রূপ নেবে এবং সরকারের পতন না ঘটা পর্যন্ত আন্দোলন চলবে।
আজিজুল বারী হেলাল আরও বলেন, অভাবের তাড়নায় মানুষ মাছ, মাংস ও চাউলের স্বাধীনতা চাচ্ছে। এতে নাকি সরকারের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। সরকার ভাবমূর্তির খেলায় নেমেছে। অথচ কিছুদিন আগেও সরকার প্রধান বারবার দেশে দূর্ভিক্ষের পদধ্বনি শোনা যাচ্ছে বলে হুশিয়ার করেছিলেন। এই সরকার মাইন্ড ডাইভারশনে পারদর্শী দাবি করে হেলাল বলেন, এটি সরকারের একটি কমন চরিত্র। তাদের অপকর্ম নিয়ে দেশে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া তৈরি হলে তারা নতুন একটি ঘটনার অবতারণা করে মানুষের নজর সেদিকে ঘুরিয়ে দেয়।
বাংলাদেশের রাজনীতিতে আওয়ামী লীগ সম্পূর্ণ পরাস্ত হয়েছে দাবি করেন হেলাল বলেন, তাদের পক্ষে পরিবারের কয়েকজন লোক আর হাসান মাহমুদ ছাড়া আর কেউ কথা বলে না। এটা সরকারের শেষ পরিণতি।
বিএনপির আজকের অবস্থান কর্মসূচি বানচাল করতে গত কয়েকদিনে ১২ নেতকার্মীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়। মহানগর বিএনপির যুগ্ম আহবায়ক কাজী মোঃ রাশেদ, মহানগর ছাত্রদলের আহবায়ক ইসতিয়াক আহমেদ ইস্তি, যুবদল নেতা জাহিদ হোসেন, গাজী সালাহউদ্দিন সহ গ্রেপ্তারকৃতদের অবিলম্বে নিঃশর্ত মুক্তি, সকল রাজনৈতিক হয়রানিমূলক মামলা প্রত্যাহার করার দাবি জানানো হয়।
কর্মসূচিতে সভাপতিত্ব করেন মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা। বক্তব্য রাখেন জেলা আহবায়ক আমীর এজাজ খান, নগর সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, জেলা সদস্য সচিব মনিরুল হাসান বাপ্পী, খান জুলফিকার আলী জুলু, স ম আব্দুর রহমান, শের আলম সান্টু, আবুল কালাম জিয়া, বদরুল আনাম খান, আশরাফুল আলম খান নান্নু, মাসুদ পারভেজ বাবু, শামসুল আলম পিন্টু, শেখ সাদী, হাসানুর রশিদ চৌধুরী মিরাজ, এনামুল হক সজল প্রমুখ। কর্মসূচি সঞ্চালনা করেন চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন।
খুলনা গেজেট/এমএম