সাকিব আল হাসান এবং মুশফিকুর রহিম বাংলাদেশের সেরা জুটিগুলোর একটি। টেস্টে এই জুটিতে ভর করেই সর্বোচ্চ রান পেয়েছে টাইগাররা। এই ম্যাচেও দুজনের অনবদ্য বোঝাপড়ায় স্বাগতিক স্কোরবোর্ডে ১৫৯ রান ওঠে। সেঞ্চুরি থেকে ১৩ রান দূরত্বে সাকিব ফিরলেও, মুশফিক তুলে নিয়েছেন নিজের দশম সেঞ্চুরি। যার মাধ্যমে মিস্টার ডিফেন্ডেবল সাদা পোশাকে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ সেঞ্চুরি করা তামিমকে স্পর্শ করেছেন। তাদের দায়িত্বশীল ব্যাটিংয়ে স্বাগতিকদের লিড একশ পেরিয়েছে।
সাকিব আউট হলে মুশফিকের সঙ্গে যোগ দেন লিটন দাস। ধীরস্থির মুশফিকের সঙ্গে লিটন দ্রুত রান তুলতে থাকেন। ৮টি চারের বাউন্ডারিতে সাজানো তার ব্যাটিং থামে ৪৩ রানে। বেন হোয়াইটের বলে তিনি ক্যাচ দিয়ে ফেরেন। একপ্রান্ত মুশফিক আগলে রেখে অন্যপ্রান্তের ব্যাটাররা স্ট্রাইক করে খেলছেন। তবে দুর্দান্ত খেলতে থাকা মুশফিক থেমেছেন ১২৬ রানে। অ্যান্ডি ম্যাকব্রাইনকে উড়িয়ে মারতে গিয়ে তিনি কমিন্সে তালুবন্দী হন।
এর আগে পঞ্চম উইকেটের পতনের পর ক্রিজে আসেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত তিনি ৩৮ বলে ৩১ রানে অপরাজিত আছেন। মুশফিক ও মেহেদীর ব্যাটে ভর করেই বাংলাদেশ শতরানের লিড পেরিয়েছে। ৬ উইকেটে তাদের সংগ্রহ ৩৩১ রান, ফলে ১১৭ রানের লিড নিয়েছে স্বাগতিকরা।
এদিন সকালে মুমিনুল হকের বিদায়ের পর থেকেই ব্যাট হাতে দুর্দান্ত শুরু করেন সাকিব আল হাসান। সেঞ্চুরির আশা জাগালেও শেষ পর্যন্ত ৮৭ রানে কাটা পড়েন তারকা এই ক্রিকেটার। প্রথম দিন তাইজুল ইসলামের ৫ শিকারে আয়ারল্যান্ডের ইনিংস মাত্র ২১৪ রানেই গুটিয়ে যায়। এরপর দিনের শেষ সেশনে জবাবে দিতে নামে বাংলাদেশের দুই ওপেনার তামিম ইকবাল ও নাজমুল হোসেন শান্ত। বেলা শেষ হওয়ার আউট হয়ে ফেরেন দুজনেই। এরপর বাংলাদেশ ৩৪ রানে ২ উইকেট হারিয়ে দিন শেষ করে।
সেখান থেকে দ্বিতীয় দিন বাংলাদেশকে টেনে তোলার ভার ছিল মুমিনুল হক ও মুশফিকের কাঁধে। কিন্তু আগেরদিনের চেয়ে মাত্র ৬ রান বেশি করতেই মুমিনুলকে মার্ক অ্যাডায়ার বোল্ড করে দেন। সেই চাপে স্বাগতিকদের ভেঙে পড়তে দেননি সাকিব ও মুশফিক। দুজনেই মিলে গড়েন অনবদ্য এক জুটি। ফলে দিনের প্রথম সেশনের পুরোটাই ছিল বাংলাদেশের দখলে।