বাগেরহাটের চিতলমারীতে মোঃ মনিরুজ্জামান (৪৮) নামে পল্লী বিদ্যুতের এক কর্মীকে কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে রক্তাক্ত জখম করা হয়েছে। শনিবার (০১ এপ্রিল) সকাল সাড়ে ১০ টায় উপজেলার হিজলা ইউনিয়নের শান্তিখালী এলাকার বাড়ির আঙিনায় (উঠানে) তিনি এ হামলার শিকার হন।
প্রতিবেশীরা উদ্ধার করে তাঁকে চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে। আহত মনিরুজ্জামান বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের মিটার রিডার হিসেবে কর্মরত এবং মাগুরা জেলার শালিখা উপজেলার আনন্দনগর গ্রামের মোঃ বজলুর রহমান মোল্লার ছেলে। খবর পেয়ে পুলিশ হাসপাতাল ও ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন।
আহত মোঃ মনিরুজ্জামানের স্ত্রী সালমা বেগম বলেন, শান্তিখালী গ্রামে তাঁরা জায়গা কিনে ৩-৪ বছর ধরে বসবাস করছেন। ওই জায়গা নিয়ে বিরোধ থাকায় তাঁর (সালমার) চাচা মোঃ মানোয়ার শেখের সাথে বেশ কয়েকবার সালিসি হয়েছে। সালিসদাররা বেড়া দিতে বলায় শনিবার সকালে তাঁরা গড়াবেড়া দিতে যান। এ সময় চাচা মানোয়ার শেখ কুড়াল দিয়ে কুপিয়ে তাঁর স্বামী মনিরুজ্জামানকে রক্তাক্ত জখম করে।
মানোয়ার শেখের স্ত্রী লাইলী বেগম বলেন, ‘ওই জায়গা নিয়ে সালমাদের সাথে আমাদের বিরোধ রয়েছে। ওরা লোকজন নিয়ে আমার স্বামী ও আমাকে মেরেছে। আমার স্বামী তাঁকে আঘাত করেনি।’
সালিসদার চিতলমারী সদর ইউনিয়ন পরিষদের সাবেক চেয়ারম্যান মোঃ দাউদুল ইসলাম লিন্টু খান বলেন, ‘আমরা বেশ কয়েকবার উভয়পক্ষের কাগজপত্র দেখেছি। তাতে সালমাদের ওই জায়গা সঠিক আছে।’
চিতলমারী উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা চিকিৎসক মোঃ মামুন হাসান জানান, মোঃ মনিরুজ্জামানের পিঠে ধারালো কুড়াল অথবা দা দিয়ে কোপ মারা হয়েছে। বেশ কয়েকটি সেলাই লেগেছে। তিনি হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন।
চিতলমারী থানার পরিদর্শক এ এইচ এম কামরুজ্জামান খান জানান, খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থল ও হাসপাতাল পরিদর্শন করেছে। এ ঘটনায় প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।
বাগেরহাট পল্লী বিদ্যুৎ সমিতি চিতলমারী জোনাল অফিসের ডেপুটি জেনারেল ম্যানেজার (ডিজিএম) প্রকৌশলী মোঃ শহীদুল ইসলাম জানান, মোঃ মনিরুজ্জামান তাঁর অফিসের একজন কর্মী (মিটার রিডার)। তিনি বাইরে থাকায় খবরটি শোনেননি। বিষয়টি গুরুত্বের সাথে খোঁজ নিয়ে দেখা হবে বলেও তিনি জানান।
খুলনা গেজেট/ এসজেড