খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬
সহ-সভাপতি পদে তাবিধ আউয়াল ও মাহি উদ্দিন সমান ভোট

সালাউদ্দিন-সালাম মুর্শেদীই থাকলেন ফুটবলের কর্তৃত্বে

ক্রীড়া প্রতিবেদক

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনে আবার কর্তত্ব পেলেন কাজী সালাউদ্দিন-আব্দুস সালাম মুর্শেদী। বাফুফে নির্বাচনে টানা চতুর্থ বারের মতো সভাপতি নির্বাচিত হলেন কাজী সালাউদ্দিন। আর সিনিয়র সহ-সভাপতি নির্বাচিত হয়েছেন আব্দুস সালাম মুর্শেদী। শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে কাজী সালাউদ্দিন পেয়েছেন ৯৪ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী বাদল রায় পেয়েছেন ৪০ ভোট। সভাপতি পদে অপর প্রার্থী শফিকুল ইসলাম মানিক পেয়েছেন ১ ভোট। ১৩৯ ডেভিগেটের মধ্যে ভোট দিয়েছেন ১৩৫ জন।

নির্বাহী পরিষদের আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ পদ সিনিয়র সহ-সভাপতি পদে জয় পেয়েছেন সালাম মুর্শেদী। তিনি পেয়েছেন ৯১ ভোট। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী শেখ মোহাম্মদ আসলাম পেয়েছেন ৪৪ ভোট।

সহ-সভাপতির চারটি পদের মধ্যে তিনজন চূড়ান্তভাবে নির্বাচিত হয়েছেন। নির্বাচিত তিনজন হলেন ইমরুল হাসান (৮৯ ভোট), কাজী নাবিল আহমেদ (৮১ ভোট) ও আতাউর রহমান মানিক (৭৫ ভোট)। সমান ৬৫ ভোট পেয়েছেন তাবিথ আউয়াল ও মহিউদ্দিন আহমেদ। ফলে, এই দুইজনের ভাগ্য নির্ধারণে আগামী ৩১ অক্টোবর পুনরায় ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। সহ-সভাপতি পদে প্রার্থী ছিলেন ৮ জন। নির্বাচিতদের সবাই সালাউদ্দিনের প্যালেল। আর টাই হওয়া মহিউদ্দিন সমন্বয় প্যানেল এবং তাবিথ স্বতন্ত্র প্রার্থী হিসেবে নির্বাচনে অংশ নেন।

এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অন্যান্য পদের ভোট গননা চলছে।

এর আগে ২০০৮ সালে সাবেক সেনা কর্মকর্তা আমিন আহমেদ চৌধুরীকে হারিয়ে প্রথমবার বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী সালাউদ্দিন। ২০১২ সালে সাবেক ফুটবলার জাকারিয়া পিন্টু প্রার্থী হলেও সরে যান। সেবার শেষ দিকে সভাপতি প্রার্থী হয়ে পরে আবদুর রহিমও সরে যাওয়ায় শেষ পর্যন্ত বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছিলেন সালাউদ্দিন। সর্বশেষ ২০১৬ সালে প্রবল বিরোধিতার পরও সালাউদ্দিন সভাপতি হয়েছেন।

শনিবার সকালে বাফুফের বার্ষিক সাধারণ সভা অনুষ্ঠিত হয়। এবারের বার্ষিক সাধারণ সভা (এজিএম) শান্তিপূর্ণভাবে সম্পন্ন হয়। সভায় গত বছরের আর্থিক বিবরণী সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়েছে। এজিএম সকাল ১১টায় শুরু হয়ে তা শেষ হয় দুপুরে।

দুপুর দুইটার দিকে ভোটগ্রহণ শুরু হওয়ার কথা থাকলে তা শুরু হয় আড়াইটার দিকে। ভোটগ্রহণ শান্তিপূর্ণভাবে শেষ হয়। বাফুফে নির্বাচনের প্রধান নির্বাচন কমিশনার মেসবাহ উদ্দিন আহমেদ সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, প্রায় আড়াই ঘণ্টা ধরে চলে ভোট গ্রহণ।

এই নির্বাচনে যে চারজন ভোট দেননি তারা হলেন শেখ জামাল ধানমন্ডি ক্লাবের কাউন্সিলর, শেখ রাসেল ক্রীড়া চক্রের কাউন্সিলর, চট্টগ্রাম আবাহনীর কাউন্সিলর ও ফরিদপুর ডিএফএ কাউন্সিলর।

খুলনা গেজেট/এএমআর




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!