খুলনা, বাংলাদেশ | ৮ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৩ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

খুলনায় দুই লাফে পেঁয়াজ  ৪০ টাকা

 নিজস্ব প্রতিবেদক

আমদানী নির্ভর এ মশলা পণ্য পেঁয়াজ আমদানী হচ্ছে না।  ছয় দিন আগে ভোমরা ও বেনাপোল বন্দ দিয়ে এ পণ্য আসা বন্ধ হযেছে। সামনে রোজার কারণে চাহিদা বেড়েছে। আজপ্রতি কেজি ৪০ টাতা দরে বিক্রি হযেছে। সোমবারের দাম ছিল ৩৫ টাকা, আমদানী বন্ধের দিন ১৫ মার্চ ২৮- ৩০ টাকা দরে বিক্রি হযেছে।

ফাল্গুন – চৈত্র পেঁয়াজের ভরা মৌসুম। খুলনার কদমতলা আড়তে ভাতি পেঁয়াজের মজুদ বেড়েছে।ফরিদপুর, শকা রিযাতপুর, মাদারীপুর,কুষ্টিয়া, মাগুরা, শৈলকুপা ও ঝিনাইদাহে এবার বাপ্পার ফলন ২০২১ সারে প্রতি কেজির মুল্য ৩শ টাকা হওয়ায অধিক লাভের আসায প্রতিত জমিতেও পেঁয়াজের আবাদ হয়েছে।  শৈলকুপায় আজকের সাপ্তাহিক হাটে শ’ শ’ বস্তা পেঁয়াজ আমদানি হয। রবিবার শিবচর হাটে বাড়তি দামে পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে। স্থানীয় আড়তদারা বলেছেন,রোজার কারণে চাহিদা দ্বিগুন। এ ছাড়া গত ১৫ মার্চ থেকে ভারতীয় পেঁয়াজ আসা বন্ধ হওয়ায়,দক্ষিণ জনপদের হাটে পেঁয়াজের বাজার চাঙ্গা হযেছে।

নতুনবাজারের খুচরা ব্যবসায়ী শহীদুল স্টোরের মালিক রাসেল হোসেন জানান আমদানী বন্ধ হওয়ার পর দু দফা মুল্য বেড়েছে। গত শনিবার প্রতি কেজি ৩০ টাকা দরে বিক্রি হলেও বুধবার (২১ মার্চ) ৩৫ টাকা, আজ ৪০ টাকা দরে বিক্রি হয়। তিনি বলেন, বিক্রির পরিমান কমেছে।

বড় বাজারের খুচরা ব্যবসায়ী মোঃ মিরান হোসেন বলেন, গেল রমজানের তুলনায় এবার বিক্রি তেমন বাড়েনি। মুলত ভারত থেকে আমদানি বন্ধ হবার পর বাজারের উর্দ্ধগতি হয়েছে।

বড় বাজারের আড়তদার নিউ আব্দুল্লাহ ভাণ্ডারের মালিক কামরুল ইসলাম জানান, অগ্রাহায়ণ- মাঘ পর্যন্ত মুড়ি কাটা পেঁয়াজের চাহিদা ছিল, এখন চাহিদা ভাতি পেঁয়াজের। অভ্যান্তরীণ বাজারে দাম বাড়লেও চাষীরা বাড়তি দাম পাচ্ছে না। আমদানী বন্ধের সুফল চাষীদের ঘরে যাচ্ছে না।

মেহেদী বাণিজ্য্য ভাণ্ডারের মালিক শেখ আবুল হোসেন জানান, হঠাৎ বাজার অস্থিশীল হওয়ায় ব্যাপারীরা ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। এই

সুত্র বলেছে, সামনে রমজানের পেঁয়াজের উল্লেখযোগ্য চাহিদা রয়েছে।আমদানী বন্ধের প্রভাব পরেছে বাজারে। উল্লেখ্য গত ১৫ মার্চ রাতে ভ্যান যোগে ক্ষুদে ব্যবসায়ীরা চার কেজি ১শ টাকা  দরে বিক্রি করলেও গতকাল একই মুল্যে আড়াই কেজি বিক্রি করে।

খুলনা গেজেট/কেডি




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!