বর্নাঢ্য আয়োজনে বাগেরহাটের ফকিরহাটের ঐতিহ্যবাহী কাজি আজহার আলি কলেজের ৫০ বছর পূর্তি উদযাপন করা হয়েছে। এ উপলক্ষে সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও পুনর্মিলনীসহ নানা কর্মসূচি পালন করেছে কলেজ কর্তৃপক্ষ । শনিবার বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রার মধ্য দিয়ে দিনব্যাপি সুবর্ণজয়ন্তী উৎসব ও পুনর্মিলনীর কার্য্যক্রম শুরু হয়। পরে কলেজ প্রাঙ্গনে পতাকা উত্তোলন শেষে বেলুন, ফেষ্টুন ও কবুতর উড়িয়ে অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন।
পরে বাগেরহাট জেলা প্রশাসক ও কলেজের সভাপতি মোহাম্মদ আজিজুর রহমানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দিন। এসময় ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্স অধিদপ্তরের মহাপরিচালক বিগ্রেডিয়ার জেনারেল মো: মাইন উদ্দিন, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার অমিত রায় চেীধুরী, বাগেরহাট জেলা পুলিশ সুপার কেএম আরিফুল হক, ফকিরহাট উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান স্বপন দাশ, ভারপ্রাপ্ত উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বিধান কান্তি হালদার, পুনর্মিলনী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শেখ মোস্তাহিদ সুজা, সর্বণজয়ন্তী উদযাপন কমিটির আহবায়ক ও অত্র কলেজের ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাওলাদার মুজিবুর রহমান, ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ রিজাউল করিসহ স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, শিক্ষক, গণমাধ্যমকর্মীসহ বিভিন্ন পর্যায়ের দুই সহস্রাধিক শিক্ষার্থী উপস্থিত ছিলেন।
পরে কলেজে বঙ্গবন্ধু একাডেমিক ভবনের ভিত্তিপ্রস্তর স্থাপনের শুভ উদ্বোধন ও কলেজ চত্ত্বরে গাছের চারা রোপন করেন তিনি।
শেখ হেলাল উদ্দিন এমপি বলেন, জনগণ যাতে সব ধরনের সুযোগ-সুবিধা ভোগ করতে পারে তার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। বর্তমান সরকারের আমলে দৃশ্যমান উন্নয়ন হয়েছে। পদ্মা সেতু ও মেট্রোরেলসহ বড় বড় মেগা প্রকল্প বাস্তবায়ন হয়েছে মানুষের কল্যানে। শিক্ষা ক্ষেত্রেও ব্যাপক উন্নতি হয়েছে। আরও হবে। এই কাজী আজহার আলী কলেজকে আরও বেশি পরিপূর্ন ও যুগপযোগী করে তুলতে সব ধরণের ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দেন দক্ষিনাঞ্চলের শীর্ষ এই জনপ্রতিনিধি।
এদিকে প্রথমবারের মত ঐতিহ্যবাহী এই কলেজে পুণর্মিলনীর আয়োজনকে প্রাক্তন ও বর্তমান শিক্ষার্থীদের সেতু বন্ধন হিসেবে দেখছেন সংশ্লিষ্টরা। দীর্ঘদিন পরে হলেও এই আয়োজনে প্রাক্তন-বর্তমানদের পদচারণায় মিলন মেলায় পরিনত হয় কলেজ প্রাঙ্গন।
কলেজের দ্বাদশ শ্রেনির শিক্ষার্থী সুজাতা আক্তার বলেন, পুনর্মিলনীতে সবাইকে এক সাথে দেখে ভাল লাগছে। কারা কখন এই কলেজে পড়েছে তা জানতে পারলাম। কলেজে ইতিহাস জেনে আমরা গর্বিত। এই ধরণের আয়োজন আবারও করার আহবান জানান এই শিক্ষার্থী।