আশংকাজনক অবস্থায় খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে মিরেরডাঙ্গা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ডুমুরিয়ার গৃহবধু মুন্নী বেগমকে। এদিকে বেশ কয়েকটি পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় দায়ীদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে খুলনা সিভিল সার্জল অফিস থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করা হচ্ছে। সিভিল সার্জন অফিস ও রোগীর স্বজনদের কাছ থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
অপারেশনের পর ভুল চিকিৎসায় গুরুতর অসুস্থ মুন্নীর খিচুনী বন্ধ না হওয়ায় শুক্রবার খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। খুলনা মেডিকেল কলেজের সার্জারী ইউনিটে চিকিৎসাধীন অবস্থায় বার বার অজ্ঞান হয়ে পড়ায় এবং খিচুনী বন্ধ না হওয়ায় শনিবার রাতে মুন্নী বেগমকে ফুলবাড়িগেটস্থ মিরেরডাঙ্গা সংক্রামক ব্যাধি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
রোগীর স্বজনরা জানিয়েছে কোন অবস্থায় খিচুনী বন্ধ হচ্ছে না। কর্তব্যরাত চিকিৎসকরা জানান, ভুল চিকিৎসার কারণে রোগী অত্যন্ত দূর্বল হয়ে পড়েছে। এদিকে তার রক্তে বা ক্ষত স্থানে ক্যান্সাররের জিবানু আছে কিনা তা পরীক্ষা করতে নমুনা সংগ্রহ করে ঢাকায় পাঠানো হয়েছে।
অপরদিকে গত দু’দিন বিভিন্ন পত্রিকায় ভুল চিকিৎসায় মুন্নীর জীবন সংকটাপন্ন উল্লেখ করে সংবাদ প্রকাশ হওয়ায় খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয় থেকে একটি তদন্ত কমিটি গঠন করতে যাচ্ছে বলে জানা গেছে।
এ ব্যাপারে খুলনা জেলা সিভিল সার্জন ডাঃ সুজাত আহমেদ বলেন, ঘটনাটি পত্রিকার মাধ্যমে জানতে পেরেছি। যে কারণে একটি টিম গঠন করে তদন্ত করা হবে। তদন্তে যারা দায়ি হবেন তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।
উল্লেখ্য, ১৭ ফেব্রুয়ারি খলশীর খাজুরা এলাকার রফিক খানের স্ত্রী মুন্নী বেগম এপেন্ডিক্স অপারেশনের জন্য ডুমুরিয়া নার্গিস ক্লিনিকে ভর্তি হয়। ডাক্তার শেখ সুফিয়ান রোস্তম এসে রোগী দেখে ওইদিন অপারেশন করতে অনীহা প্রকাশ করেন। কিন্তু ক্লিনিক মালিকের পিড়াপিড়িতে ডাক্তার অপারেশন করেন। পরবর্তীতে অপারেশনের স্থানে আস্তে আস্তে পচন ধরতে থাকে। ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ বেশকিছুদিন রেখে একটু পচন কমলে বাড়িতে পাঠিয়ে দেন। পরবর্তীতে পচনের মাত্রা বেড়ে যায়। গত শুক্রবার রোগির প্রচন্ড খিচুনি হয় পরে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। নিরুপায় হয়ে রোগির স্বজনরা তাকে দ্রুত খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড