খুলনা সিটি কর্পোরেশনের মেয়র ও মহানগর আ’লীগের সভাপতি তালুকদার আব্দুল খালেক বলেছেন, ১৯৫০ সালে মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর এটিকে অচল করে রেখেছিলো বিএনপি। তাদের রাষ্ট্র ক্ষমতার শেষ পর্যন্ত সেই ষড়যন্ত্রের প্রক্রিয়া চলমান থাকে। সেসময় হাজার হাজার শ্রমিককে না খেয়ে থাকতে হয়েছে। একপর্যায়ে কর্মহীন হয়ে পড়া সেসব শ্রমিক এখান থেকে নিঃস্ব হয়ে চলে যান।
এছাড়া ১৯৯৬ সালে তৎতকালীন ক্ষমতাসীন আ’লীগ সরকারের সময় চালু হওয়া মোংলা ইপিজেডও ২০০১ সালে ক্ষমতায় এসে বন্ধ রাখে বিএনপি। মুখ থুবড়ে পড়েছিল এই অঞ্চলের অর্থনীতি কাঠামো। ২০০৯ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতায় এসে সেই অচল বন্দরকে সচল করতে নদী ড্রেজিংসহ নানামুখী উদ্যোগ নেন। এখন মোংলা বন্দর একটি লাভজনক বন্দরে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। ইপিজেডে ফিরেছে দেশি বিদেশি বিনিয়োগ। কর্মসংস্থান হয়েছে হয়েছে হাজার হাজার নারী পুরুষের।
সোমবার (১৩ মার্চ) বেলা ১১টায় মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝি মাল্লা সংঘের নব নির্বচিত নেতাদের অভিষেক অনুষ্ঠানে যোগ দিয়ে তিনি এসব কথা বলেন।
সিটি মেয়র আরও বলেন, মোংলা নদী ড্রেজিং করা না হলে আজ মাঝিরা ট্রলার বা নৌকা চালাতে পারতো না। অথচ বিএনপি সেই নদীটিও কখনো ড্রেজিং করেনি। বন্দরকে সচল রাখতে এই অঞ্চলে নানা রকম শিল্প প্রতিষ্ঠান করতে আ’লীগ সরকারই অবদান রেখেছে। বন্ধ হওয়া মোংলা-ঘষিয়াখালী নৌ চ্যানেল চালু করতে ৫৩১ কোটি টাকা খরচ করে নদীর সাথে সংযুক্ত ৮৩ খাল অপসারন করে পানি প্রবাহ বৃদ্ধি করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বিএনপি এই অঞ্চলের উন্নয়নে কোনও কাজই করেনি বলে উল্লেখ করেন তিনি।
মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝি মাল্লা সংঘের প্রধান উপদেষ্টা শেখ আব্দুস সালামের সভাপতিত্বে এসময় আরও বক্তব্য রাখেন, উপজেলা চেয়ারম্যান আবু তাহের হাওলাদার, পৌর মেয়র বীর মেয়র মুক্তিযোদ্ধা শেখ আব্দুর রহমান, উপজেলা নির্বাহী অফিসার দীপংকর দাশ, উপজেলা আ’লীগের সভাপতি সুনিল কুমার বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক মোঃ ইব্রাহিম হোসেন, পৌর আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ কামরুজ্জামান জসিম, উপজেলা যুবলীগের সভাপতি ইস্রাফিল হাওলাদার প্রমুখ।
পরে মোংলা বন্দর যন্ত্রচালিত মাঝি মাল্লা সংঘের নবনির্বচিত কমিটির ১১ জন নেতাদের শপথ বাক্য পাঠ করান সংঘের প্রধান উপদেষ্টা শেখ আব্দুস সালাম।
খুলনা গেজেট/ এসজেড