গৌরবময় ঐতিহ্য ও কৃষ্টির অংশ হিসেবে হস্তশিল্প খাতের পণ্যের চাহিদা বৃদ্ধির জন্য মেলায় নতুন নতুন ও ক্রেতাদের চাহিদানুযায়ী আকর্ষণীয় ও মানসম্পন্ন পণ্যসামগ্রী উৎপাদনের উপর গুরুত দিতে হবে। প্রস্তুতকারক ও শীর্ষস্থানীয় ডিজাইনারদের মধ্যে সংযোগ স্থাপন, এই খাতের বিলুপ্তি রোধ এবং সর্বোপরি দেশে কর্মসংস্থান সৃষ্টির লক্ষ্যেই এই ধরনের মেলার আয়োজন করতে হবে।
নারী উদ্যোক্তাদের সম্ভাব্য সকল প্রকার সেবা-সহায়তা দিতে সরকার ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে এগিয়ে আসতে হবে। এই খাতের উন্নয়ন ও বিকাশ ঘটিয়ে উৎপাদন ও আয় বৃদ্ধি এবং নতুন কর্মসংস্থান সৃষ্টি করতে পারলে আয়োজকদেও আয়োজন সফর হবে।
এভাবে বললেন জনউদ্যোগ,খুলনা ও ডাব্লিউইএস আয়োজিত হস্তশিল্প প্রদর্শনীর উদ্বোধনী সভায় বক্তারা।
শুক্রবার বেলা ১১টায় জনউদ্যোগ,খুলনা ও ডাব্লিউইএস এর উদ্যোগে ল’কলেজে আন্তজার্তিক নারী দিবস উদযাপন উপলক্ষে দুইদিনব্যাপী হস্তশিল্প প্রদর্শনী ও সিনিয়র সিটিজেনদের মিলনমেলা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় সভাপতিত্ব করেন জনউদ্যোগ,খুলনার নারী সেলের আহবায়ক ও ডাব্লিউইএস এর সভাপতি এ্যাডঃ শামীমা সুলতানা শীলু।
প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত ছিলেন খুলনাঞ্চলের মুজিব বাহিনীর প্রধান ও বাগেরহাট জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীরমুক্তিযোদ্ধা কামরুজ্জামান টুকু। বিশেষ অতিথি ছিলেন সাইবার ট্রাইবুন্যালের জেলা জজ কনিকা বিশ্বাস, খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের এডিসি (সাউথ) সোনালী সেন, আওয়ামীলীগের মহানগর কমিটির সহ-সভাপতি শ্যামল সিংহ রায়, খুলনা প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মামুন রেজা, খুলনা চেম্বার অব কমার্সের পরিচালক গোপী কৃষাণ মুন্ধড়া। ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন ল’কলেজের অধ্যক্ষ এ্যাডঃ আউয়াল রাজ।
স্বাগত বক্তব্য রাখেন জনউদ্যোগ,খুলনার সদস্য সচিব মহেন্দ্রনাথ সেন। সভা পরিচালনা করেন বাংলাদেশ মানবাধিকার সংস্থার সমন্বয়কারি এ্যাডঃ মোমনিুল ইসলাম। জাতীয় সংগীত পরিবেশন করেন জনউদ্যোগ যুব সেলের জয় বৈদ্য এর দল।
সভায় প্রধান অতিথি বলেন, এই শিল্প ধরে রাখতে বাজারজাত করার জন্য সেল সেন্টার তৈরী করতে হবে। যেখানে উদ্যোক্তারা তাদের পণ্য রেখে বিক্রয় করতে পারে। পাশাপাশি এগুলো বিদেশে বিক্রয়ের চেষ্ঠা করতে হবে। মেলায় খেলাধূলা, মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। মেলা ১১ মার্চ রাত ৯টা পর্যন্ত চলবে।