প্রথমে ব্যাট করতে নেমে যেন রুদ্রমুর্তি ধারণ করেন ইংলিশ দুই ওপেনার ফিল সল্ট এবং জস বাটলার। এই দুই ওপেনারের ব্যাটে ভর করে পাওয়ারপ্লেটা নিজেদের করে নেয় বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন ইংল্যান্ড। তবে ব্যক্তিগত ৩৮ রানে সল্ট ফিরলেও চার-ছক্কার পসরা সাজিয়ে ৪১ বলে ৬৭ রান করে সাজঘরে ফেরেন বাটলার।
ইংলিশ অধিনায়কের বিদায়ের পর শেষ দিকে স্বাগতিক বোলারদের নৈপুণ্যে রান তুলতে পারেনি সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত নির্ধারিত ওভার শেষে ৬ উইকেট হারিয়ে ইংলিশরা সংগ্রহ করে ১৫৬ রান। বাংলাদেশের জয়ের জন্য প্রয়োজন ১৫৭ রান।
শেষ দিকে ইংলিশদের রানের গতি কতটা মন্থর ছিল তা দেখা যাবে ছোট একটা পরিসংখ্যানেই। প্রথম ১৬ ওভারে সফরকারীদের সংগ্রহ ছিল ১৩৫ রান। আর শেষ ২৪ বলে তারা তুলতে পারলো মোটে ২১ রান। এ সময়ে তারা উইকেট হারিয়েছে দুই দুটি। অবশ্য এমন পরিস্থিতির পুরো কৃতিত্ব হাসান-মোস্তাফিজদের।
বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে টস জিতে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন টাইগার অধিনায়ক সাকিব আল হাসান। শুরুতে ব্যাট করতে নেমে প্রথম থেকেই ঝড় তুলছিলেন দুই ইংলিশ ওপেনার। অবশ্য বাটলার ব্যক্তিগত ১৯ রানেই ফিরতে পারতেন। মিডঅনে সহজ ক্যাচ মিস করেন সাকিব। তবে দলীয় ৮০ রানে দলকে প্রথম সাফল্য এনে দেন নাসুম আহমেদ, ৩৮ রানে থাকা সল্টকে ফিরিয়ে দিয়ে।
এরপর অবশ্য ইংলিশ শিবিরে আবার আঘাত হানেন সাকিব। ডেভিড মালান ৪ রানে সাকিবের বলে শান্তর কাছে ক্যাচ দিয়ে ফিরে যান। তখনো ব্যাট হাতে লড়ছিলেন বাটলার, পরবর্তীতে তুলে নেন অর্ধশতকও। এরপর অবশ্য ১৬তম ওভারে বেন ডাকেটকে ২০ রানে বিদায় করেন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। পরের ওভারেই হাসান মাহমুদের আঘাত ইংরেজ শিবিরে। প্যাভিলিয়নের পথ ধরান ৬৭ রানে ব্যাট করা বাটলারকে।
এরপর স্যাম কারান এবং মঈন আলি মিলে দলকে এগিয়ে নেওয়ার দায়িত্ব নেন। তবে টাইগার বোলারদের ঠিক শাসন করতে পারছিলেন না এই দৃই ব্যাটার। একের পর এক হাসান কিংবা মোস্তাফিজের বলে মারমুখী হওয়ার চেষ্টা করেও হয়েছেন ব্যর্থ। বিশেষ করে হাসানের ১৯তম ওভারে বেশ স্ট্রাগল করতে দেখা গেছে ইংলিশ ব্যাটারদের। সেই ওভারেই কারান ফিরেছেন মোটে ৬ রান করে।
শেষ ওভারে তাসিকনের বলে ফিরেছেন ক্রিস ওকস। তবে ক্রিস জর্ডানের বাউন্ডারিতে দলীয় রান পার হয় দেড়শোতে। বাংলাদেশের হয়ে সর্বোচ্চ ২ উইকেট সংগ্রহ করেছেন হাসান মাহমুদ। এছাড়া ১ টি করে উইকেট সংগ্রহ করেছেন তাসকিন, সাকিব, নাসুম এবং মুস্তাফিজুর।
খুলনা গেজেট/ এসজেড