ওয়ানডে সিরিজ হারের বেদনা ভুলে নতুন শুরুর অপেক্ষায় বাংলাদেশ। ওয়ানডের পর নতুন চ্যালেঞ্জের নাম টি-টোয়েন্টি। যেখানে বাংলাদেশের হারানোর তেমন কিছুই নেই, তবে আছে প্রাপ্তির সুবর্ণ সুযোগ। চট্টগ্রামের জহুর আহমেদে বৃহস্পতিবার (৯ মার্চ) শুরু টি-টোয়েন্টি লড়াই।
সুযোগ থাকলেও নিজেদের পছন্দের ফরম্যাটে ইংলিশদের হারানোর সুযোগ হাতছাড়া করেছে বাংলাদেশ। প্রথম দুই ম্যাচ হারলেও শেষ ম্যাচে সাকিব ম্যাজিকে স্বস্তির জয় পেয়েছে তামিমের দল। সেই আত্মবিশ্বাস নিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ খেলতে নামছে বাংলাদেশ।
যদিওটা ওয়ানডের মতো টি-টোয়েন্টিতেও কঠিন চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে হবে সাকিবের দলকে। কারণ প্রতিপক্ষ ইংল্যান্ড যে বর্তমান বিশ্বচ্যাম্পিয়ন। তবে সাগরিকায় শেষ ওয়ানডে জয়ে আত্মবিশ্বাসী বাংলাদেশ জয় দিয়েই টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু করতে মরিয়া।
বুধবার (৮ মার্চ) চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে কঠোর অনুশীলন করেছে বাংলাদেশ দল। যেহেতু টি-টোয়েন্টি ম্যাচ, তাই বিগ হিটিংয়ের ওপরই বেশি নজর দিয়েছে ক্রিকেটাররা। বিশেষ নবাগত তৌহিদ হৃদয়-রনি তালুকদাররা নেটে মারকুটে ব্যাটিংয়ে নজর কেড়েছেন হেড কোচ চন্ডিকা হাথুরুসিংহের।
প্রথম ওয়ানডেতে তৌহিদ-রনি দুজনেরই অভিষেক হতে পারে, এমনটাই আভাস মিলেছে হাথুরুসিংহের বক্তব্যে। তরুণদের প্রসঙ্গে হাথুরুসিংহে জানিয়েছেন, ‘আমি ম্যাচ সিনারিওতে ওদের দেখতে চাই। আমি তাদের শুধুমাত্র নেটে দেখেছি। যা দেখেছি তাতে আমার ভালো লেগেছে। রনিকে আমি আগেও দেখেছি।’ তারা ঘরোয়া ক্রিকেটে ভালো খেলেছে। জাতীয় দলে ভালো করার সুযোগ এখনই। তাদের প্রতি আজকে আমার বার্তা হচ্ছে, যেমনটা খেলে এসেছো, অমনই খেলো।
ওয়ানডে সিরিজে জিততে না পারলেও বাংলাদেশের লড়াকু মনোভাবে মুগ্ধ ইংলিশরা। পেসার ক্রিস ওকস জানিয়েছেন টি-টোয়েন্টিতেও চ্যালেঞ্জ ছুঁড়ে দিবে বাংলাদেশ। ওকস জানান, টি-টোয়েন্টিতে বাংলাদেশকে ছোট করে দেখার সুযোগ নেই। কোনো পার্থক্য নেই। এটা সত্য যে আমরা বিশ্বকাপ জিতে এসেছি, তবে সত্যি কঠিন কন্ডিশন। এটা আমাদের জন্য বড় পরীক্ষার কারণ হবে। তাই আমাদের জন্য কঠিন সিরিজ হবে বলেই প্রত্যাশা করছি। ’
ওয়ানডে সিরিজে বাংলাদেশের দুশ্চিন্তার কারণ ছিল ওপেনিং। টি-টোয়েন্টিতে অন্তত তেমনটা নিশ্চয়ই চাইবে না সাকিবের দল। লিটনের পাশে ওপেনার হিসেবে দেখা যেতে পারে রনি তালুকদারকে। বিপিএলে মারমুখী ব্যাটিং করা রনি, নিজেকে মেলে ধরতে মরিয়া। পাশাপাশি আছে তানভীর মিরাজদের মতো স্পিনাররা। আর পেস ইউনিটে আছে হাসান-তাসকিনদের মতো পারফর্মাররা। তাই ভালো কিছুর আশা দেখতেই পারেন অধিনায়ক সাকিব।
সবশেষ দেখায় ইংল্যান্ডের কাছে ৮ উইকেটে হেরেছিল বাংলাদেশ। তবে সেটা ছিল ২০২১ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে। এরপর আর টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে প্রতিপক্ষ হিসেবে ইংল্যান্ডকে পায়নি বাংলাদেশ। তাই বাংলাদেশের সামনে সুযোগ নতুন ইতিহাস গড়ার। সাগরিকায় খেলা শুরু দুপুর ৩টায়।
বাংলাদেশের সম্ভাব্য একাদশ : রনি তালুকদার, লিটন দাস, নাজমুল হোসেন শান্ত, সাকিব আল হাসান (অধিনায়ক), তৌহিদ হৃদয়, আফিফ হোসেন, নুরুল হাসান সোহান, মেহেদি হাসান মিরাজ, তাসকিন আহমেদ, হাসান মাহমুদ ও তানভীর ইসলাম।
ইংল্যান্ডের সম্ভাব্য একাদশ : ফিল সল্ট, জস বাটলার (অধিনায়ক), ডেভিড মালান, বেন ডাকেট, মঈন আলী, স্যাম কারান, ক্রিস ওকস, ক্রিস জর্ডান, রেহান আহমেদ, আদিল রশিদ ও জোফরা আর্চার।