জাতীয় পার্টির মহাসচিব এড. মুজিবুল হক চুন্নু বলেছেন, আমরা আর কারো ক্ষমতায় যাওয়ার সিঁড়ি হতে চায় না। আগামীতে আমরা একক নির্বাচন করতে চাই। সারা দেশের মানুষ বিএনপি এবং আওয়ামীলীগের উপর অসন্তুষ্ট। মানুষ মন থেকে দু’টি দলকে চায় না। আগামী নির্বাচনে আমরা ৩’শ আসনে প্রার্থী দিবো।
তিনি বলেন, গত ৪ টি নির্বাচনী আমরা আওয়ামী লীগকে সাহায্য করেছি। আমরা ভেবেছিলাম আওয়ামী লীগ মুক্তিযুদ্ধের পক্ষের দল, বঙ্গবন্ধুর দল। বিএনপিকে সাপোর্ট না করে আওয়ামীলীগকে সাপোর্ট করলে তারা সুশাসন কায়েম করবে, দুর্নীতি বন্ধ করবে, মানুষের কল্যাণ করবে, লুটপাট করবে না। কিন্তু আমরা খুবই আশাহত হয়েছি। আমরা আমাদের জন্য তো কিছু চায় নি। সরকার সমস্ত কিছুকে কুক্ষিগত করে রেখেছে।
তিনি বলেন, আমরা ক্ষমতায় গেলে প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করবো। ঢাকাকেন্দ্রিক প্রশাসনকে আমরা বিকেন্দ্রীকরণ করবো। কর্মবিমুখ শিক্ষার পরিবর্তে কর্মমুখী শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করবো।
আমরা নির্বাচন পদ্ধতির পরিবর্তন চাই। বর্তমান নির্বাচন সিস্টেম একটা ভুল সিস্টেম। আমরা চাই আনুপাতিক হারে নির্বাচন, যে নির্বাচনে প্রার্থী থাকবে না। মার্কা থাকবে। মার্কায় ভোট কাস্টিং হবে। ভোটে যে দল যত পার্সেন্ট ভোট পাবে, সে দল থেকে তত পার্সেন্ট এমপি হবে।
তিনি বলেন, প্রতিবেশী দেশ নেপালে ৫০ শতাংশ ইলেকশন এই আনুপাতিক হার সিস্টেমে হয়। তিনি প্রশ্ন রেখে বলেন নেপাল পারলে আমরা পারবো না কেন? কারণ বড় দু’টি দল চায় না। তারা চায় একা একা নির্বাচন করতে হবে।
তিনি বলেন, সাংবিধানিক পদগুলিতে অনেক অযোগ্য লোক। আমরা ক্ষমতায় গেলে সাংবিধানিক পদগুলিতে যাতে যোগ্য লোক নিয়োগ দেয়া যায় তার যথাযথ ব্যবস্থা করার প্রয়োজনীয় আইন তৈরীর ব্যবস্থা করতে চাই।
শুক্রবার (৩ মার্চ) সকালে ডাক বাংলা দলীয় কার্যালয়ের সামনে খুলনা জেলা জাতীয় পার্টির দ্বি-বার্ষিক সন্মেলনে তিনি প্রধান অতিথীর বক্তৃতায় এ কথা বলেন।
সন্মেলনের উদ্বোধন করেন জাপার প্রেসিডিয়াম সদস্য ও খুলনা বিভাগের দায়িত্বপ্রাপ্ত অতিরিক্ত মহাসচিব মো: সাহিদুর রহমান টেপা। প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সুনীল শুভ রায়।
বিশেষ অতিথী হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সাবেক মন্ত্রী ও জাপা’র প্রেসিডিয়াম সদস্য সৈয়দ দিদার বখত, প্রেসিডিয়াম সদস্য মোস্তফা আল মাহমুদ, সংগঠনের চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা ও সংসদ সদস্য এড. নুরুল ইসলাম তালুকদার, উপদেষ্টা নাজনীন সুলতানা, এড. জহিরুল হক জহির, সংগঠনের ভাইস চেয়ারম্যান এড. শরিফুল ইসলাম সরু, শ্রমিক বিষয়ক সম্পাদক জাহিদ হোসেন জাহাঙ্গীর, নগর জাপার নব নির্বাচিত সভাপতি এড. মহানন্দ সরকার, সাধারণ সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল মামুন, সন্মেলন বিশেষ বক্তা হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জাপার কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য ডা: সৈয়দ আবুল কাশেম, মোস্তফা জাহাঙ্গীর আলহাজ্ব ইসমাইল খান টিপু, আব্দুল ওয়াদুদ মোড়ল প্রমুখ
সভাপতিত্ব করেন জেলা জাপা’র সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন জেলা জাপা’র সাধারণ সম্পাদক এম হাদিউজ্জাামান।
প্রসঙ্গত ৫ বছর পর জেলা জাপা’র সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সম্মেলনে বর্তমান সভাপতি শফিকুল ইসলাম মধু এবং সাধারন সম্পাদক এম হাদিউজ্জামান কে পুনরায় সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ঘোষণা করেন দলের মহাসচিব।
খুলনা গেজেট/ এসজেড