জাতীয় পার্টির খুলনা জেলা শাখার দ্বি-বার্ষিক সম্মেলন আগামীকাল সকাল ১০ টায় স্থানীয় ডাক বংলা মোড় চত্ত্বরে অনুষ্ঠিত হবে। সাদা মাঠা পরিবেশে সম্মেলনের আয়োজন। নেতৃত্বের প্রতিযোগিতা নেই। নয়া কমিটিতে পরিবর্তনের সম্ভাবনাও নেই। প্রত্যাবর্তন হচ্ছে। শফিকুল ইসলাম মধু আবারও জেলা জাপার সভাপতি হচ্ছেন। সাধারণ সম্পাদক তার পছন্দের ওপর নির্ভর করছে।
দলের কেন্দ্রীয় মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু এমপি সম্মেলনের প্রধান অতিথি থাকবেন। উদ্বোধন করবেন দলের অতিরিক্ত মহাসচিব সাহিদুর রহমান টেপা। সম্মেলন উপলক্ষে দলীয় কার্যালয় প্রাঙ্গনে বড় সড় প্যান্ডেল নির্মাণ করা হয়েছে। নতুন কোন তোরণ নয়, বৃহস্পতিবার নগর সম্মেলনের তোরণই ব্যবহার হচ্ছে।
সম্মেলনের উদ্বোধনী পর্ব শেষে, গঠনতন্ত্র অনুযায়ী কাউন্সিলের আয়োজন। নয়া নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য ৩৮৬ জন কাউন্সিলরের মতামত প্রয়োজন। কিন্তু সে পর্যন্ত গড়াবে না। পুরানো কমিটি বহল থাকছেন। নয়া সভাপতি হিসেবে ঘুরেফিরে শফিকুল ইসলাম মধুর নামই উচ্চারিত হচ্ছে। তার প্রতিদ্বন্দ্বি নেই। তিনি কেন্দ্রের ভাইস চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করছেন। দলের কাছে তার গ্রহণযোগ্যতা রয়েছে।
দলের সূত্র বলছে, দ্বাদশ সংসদ নির্বাচনের আগে নেতৃত্বের পরিবর্তনের সম্ভাবনা কম। সাধারণ সম্পাদক পদে একাধিক প্রার্থী। উল্লেখযোগ্য প্রার্থীরা হচ্ছেন মল্লিক হাদিউজ্জামান, সৈয়দ আবুল কাশেম, জাহাঙ্গির হোসেন, ইসমাইল খাঁন টিপু।
দলের সূত্র আরও বলছে, তারা দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন। খুলনা-৬ আসনে শফিকুল ইসলাম মধুকে প্রার্থী হিসেবে চূড়ান্ত করেছে। খুলনা-১ আসনের প্রার্থী থাকবেন দলের প্রেসিডিয়ামের সদস্য সুনীল শুভ রায়। নগর সম্মেলনে প্রধান বক্তা হিসেবে প্রচার করা হলেও তিনি গোস্বা করেছেন। তার অভিমান সকল স্তরের কর্মীর মতামত না নিয়ে এ্যাড: মহানন্দ সরকারকে দলে ফিরে আনা হয়েছে এবং তার হাতে নগরের নেতৃত্ব তুলে দেওয়া হয়েছে। সুনীল শুভ রায়ের অনুসারিদের ভাষ্য মহানন্দ সরকারের পরিবার পরিজন এক সময় জাতীয় পার্টির রাজনীতির সাথে জড়িত থাকলেও এক পর্যায়ে তারা দল ত্যাগ করে। দীর্ঘ সময় এ পরিবার জাপার সঙ্গে সম্পর্ক রাখেনি। তার কন্যা দাকোপ উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর এ পরিবার সরকারি দলের সাথে সম্পর্ক রক্ষা করে।
খুলনা গেজেট/এমএম