খুলনা, বাংলাদেশ | ৯ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৪ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  ২৪ ঘণ্টায় ডেঙ্গুতে ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৮৮৬

বাগেরহাটে ড্রাইভিং শিক্ষার্থীদের লাইসেন্স পেতে ৩ হাজার টাকা ঘুষের অভিযোগ

নিজস্ব প্রতিবেদক,বাগেরহাট

বাগেরহাটে আন্তর্জাতিক শ্রম সংস্থা (আইএলও)‘র স্কিলস-২১ প্রকল্পের মাধ্যমে প্রশিক্ষন নেওয়া শিক্ষার্থীদের ড্রাইভিং লাইসেন্স করে দেওয়ার কথা বলে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগ উঠেছে প্রশিক্ষকের বিরুদ্ধে। ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি (আইএমটি) বাগেরহাটে চলমান এই কোর্সের ২৫ শিক্ষার্থীর মধ্যে ১৮ থেকে ২০ জনের কাছ থেকে ৩ হাজার টাকা করে নেওয়া হয়েছে। যারা টাকা দেয়নি তারা পাশ করতে পারবে না এমন হুমকীও দেওয়া হয়েছে। আইএলও‘র ড্রাইভিং প্রশিক্ষক মো: রুবেলের বিরুদ্ধে এসব অভিযোগ করেছেন ২য় ব্যাচের ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা।

মো: সাব্বির হোসেন নামের এক শিক্ষার্থী বলেন, ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটে আইএলও‘র চার মাসের ড্রাইভিং কোর্স সম্পন্ন করলে আমরা আইএলও থেকে ৪ হাজার ২‘শ টাকা পাই। ভর্তির সময় বলা হয়েছিল ড্রাইভিং লাইসেন্সের জন্য আমাদের কোন টাকা লাগবে না। কিন্তু এখন আমাদের কাছ থেকে ড্রাইভিং পরীক্ষায় পাশ করিয়ে দেওয়ার জন্য জন্য ৩ হাজার টাকা করে নিয়েছেন প্রশিক্ষক মো: রুবেল। শুধু আমি না, প্রায় সবাই এই টাকা দিয়েছেন রুবেল স্যারের কাছে।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক শিক্ষার্থী বলেন, বিআরটিএ তে টাকা দেওয়া লাগবে বলে আমাদের কাছ থেকে ৩ হাজার করে টাকা নিয়েছে। আমিসহ প্রায় ১৮-২০ জন শিক্ষার্থী তিন হাজার টাকা দিয়েছি। কিন্তু এটা যদি জানাজানি হয় আমাদের ফেল করায়ে দিতে পারে। এজন্য কেউ মুখ খুলছে না।

প্রশিক্ষনার্থী মো: নুরুজ্জামান বলেন, একটি ট্রাক চালকের সহযোগি হিসেবে কাজ করায় ঢাকায় ছিলাম। রুবেল স্যার ফোন করে বিআরটিএ‘তে দেওয়ার জন্য তিন হাজার টাকা চেয়েছিলেন। কাছে টাকা নেই বলে জানালে, তিনি বলেন টাকা না দিলে ফেল করায়ে দিবেন। পরে অন্যান্য শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে জানতে পারি তাদের কাছ থেকেও তিন হাজার করে টাকা নেওয়া হয়েছে।

অভিযোগ অস্বীকার করে প্রশিক্ষক মো: রুবেল বলেন, আমি কোন টাকা নেইনি।

বিআরটিএ-তে লাইসেন্সের জন্য সরকারি ফি ছাড়া কোন টাকা নেওয়া হয়না দাবি করে প্রতিষ্ঠানটির বাগেরহাট কার্যালয়ের পরিদর্শক রনজিত কুমার হালদার বলেন, বিআরটিএ‘র লাইসেন্স প্রদানের জন্য আমরা কোন টাকা নেই না। যদি কেউ বিআরটিএ‘র নাম ভাঙ্গিয়ে টাকা নেয়, তাহলে সে দায়দায়িত্ব তাদের।

আইএলও‘র স্কিলস-২১ প্রকল্পের সমন্বয়ক ইলিয়াস রহমাতুল্লাহ বলেন, টাকা নেওয়ার বিষয়টি তিনি অবগত নন। কারো বিরুদ্ধে টাকা নেওয়ার অভিযোগ প্রমানিত হয়, তাহলে প্রশাসনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ইনস্টিটিউট অব মেরিন টেকনোলজি বাগেরহাটের অধ্যক্ষ মো: জিয়াউল হক বলেন, এভাবে টাকা নেওয়ার নিয়ম নেই। যদি কোন শিক্ষার্থী লিখিত অভিযোগ দেয় তা হলে আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করব।

খুলনা গেজেট/ এসজেড




আরও সংবাদ

খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!