বিশ্বের ধনশালী দেশ জাপান ও যুক্তরাজ্যকে কাছাকাছি সময়ে এমন মূল্যস্ম্ফীতির ফেরে পড়তে হয়নি। তবে গেল বছর দু’দেশের জনগণকেই নিতে হয়েছে চার দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ম্ফীতির চাপ। চালের গুঁড়ার দাম বেড়ে যাওয়ায় রুটির আকার ছোট হয়ে গেছে উদীয়মান অর্থনীতির দেশ ইন্দোনেশিয়ায়। জার্মানির মতো শক্তিশালী অর্থনীতির দেশেও লন্ড্রি মালিকের গ্যাসের বিল বেড়েছে পাঁচ গুণ। পাকিস্তান কার্যত দেউলিয়া। আর বাংলাদেশের দেড় দশকের স্থিতিশীল অর্থনীতিতেও হঠাৎ লেগেছে বড় ধাক্কা।
মূলত ইউক্রেন যুদ্ধই বিভিন্ন দেশের নানামুখী সংকটের অনুঘটক। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়া ইউক্রেনে হামলা চালালে এর রেশ ধরে বিশ্ব অর্থনীতি হয়ে পড়ে টালমাটাল। সময় যত গড়িয়েছে; অর্থনীতির অভিঘাত ততই গভীর হয়েছে। করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টারত অর্থনীতি পড়ে আরও গাড্ডায়। এতে অধিকাংশ উন্নয়নশীল দেশ সংকটের ঘূর্ণিতে খাচ্ছে ঘুরপাক। বাদ যায়নি ইউরোপের ধনী দেশও। যুদ্ধের সরাসরি কোনো পক্ষ না হলেও এ বছর জার্মানির অর্থনীতি ১৭১ বিলিয়ন ডলার ক্ষতির মুখে পড়তে পারে। যুদ্ধের কারণে সার্বিকভাবে গত বছর বিশ্ব অর্থনীতিতে ক্ষতি হয়েছে ১ লাখ ৬০ হাজার কোটি (১.৬ ট্রিলিয়ন) ডলারের।
যুদ্ধের কারণে মূল্যস্ম্ফীতি বেড়ে বদলে গেছে কোটি কোটি মানুষের জীবনের ছক। যাপিত জীবন হয়ে উঠেছে দুর্বিষহ। বেড়েছে বেকারত্ব। যুক্তরাষ্ট্রের লাভজনক শীর্ষস্থানীয় প্রযুক্তি কোম্পানিগুলোও অকল্পনীয় হারে কর্মী ছাঁটাই করেছে। যুদ্ধে পাল্টে গেছে বিশ্বায়নের ধারাও। ‘নিজে বাঁচো’ নীতিই এখন মূলনীতি। বদলে গেছে ভূ-রাজনীতি। গড়ে উঠছে অলিখিত নতুন রাজনৈতিক ও সামরিক জোট। অস্ত্র প্রতিযোগিতা হয়েছে আরও জোরদার।
রাশিয়ার মতো বিশাল শক্তির বিরুদ্ধে মরণপণ লড়াইয়ে ইউক্রেন অভাবনীয় প্রতিরোধ দেখালেও অব্যাহত হামলায় দেশটি এখন কার্যত ধ্বংসস্তূপ। দেশটির অর্থনীতির ৩০ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে। রাশিয়ার ক্ষতিও কম হয়নি। এক সময়ের পরাশক্তি দেশটি এখন কার্যত একঘরে। জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদে তার পক্ষে পাঁচটির বেশি ভোট পড়ে না। অর্থনীতিতে ধস না নামলেও দীর্ঘমেয়াদি ক্ষতির মুখে পড়েছে দেশটি। রাশিয়ার হাজার হাজার (পশ্চিমাদের মতে দুই লাখ) সেনা হতাহত হয়েছে। ধ্বংস হয়েছে অর্ধেক সংখ্যক ট্যাঙ্ক।
বিশ্বব্যাংকের গ্লোবাল ইকোনমিক প্রসপেক্টাসে বলা হয়েছে, যুদ্ধের ধাক্কায় ২০২৩ সালে বৈশ্বিক প্রবৃদ্ধি ১ দশমিক ৭ শতাংশে নেমে আসবে। এটা প্রায় তিন দশকের মধ্যে তৃতীয় সর্বনিম্ন। জার্মান ইনস্টিটিউট ফর ইকোনমিক অ্যাফেয়ার্সের গবেষণা বলছে, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে ২০২৩ সালে তামাম বিশ্বে উৎপাদন ক্ষতির পরিমাণ আরও ১ ট্রিলিয়ন ডলার বা তার বেশি হতে পারে।
জার্মান চেম্বার অব ইন্ডাস্ট্রি অ্যান্ড কমার্স জানায়, ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে এ বছর ইউরোপের বৃহত্তম অর্থনীতির এই দেশটির আর্থিক ক্ষতি হতে পারে মোট জিডিপির প্রায় ৪ শতাংশ। জার্মানির শিল্পগুলোকে ২০২১ সালের চেয়ে ২০২৩ সালে জ্বালানির জন্য প্রায় ৪০ শতাংশ বেশি অর্থ খরচ করতে হতে পারে।
নজিরবিহীন মূল্যস্ম্ফীতি :
জাপানে মূল্যস্টম্ফীতি গত বছরের শেষ দিকে ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ পর্যায়ে পৌঁছেছে। ডিসেম্বরে জাপানের মূল ভোক্তামূল্য এক বছর আগের চেয়ে ৪ শতাংশ বেড়েছে। ব্রিটেনেও মুদ্রাস্টম্ফীতি ৪১ বছরের মধ্যে সর্বোচ্চ স্তরে পৌঁছে গত বছরের শেষ দিকে।
যুদ্ধের কারণে বিশ্বের বৃহত্তম গম আমদানিকারক দেশ তিউনিসিয়া, মরক্কো ও মিসর ভীষণ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। গমে ভর্তুকিসহ আর্থিক সংকট কাটাতে মিসর সরকার সম্প্রতি আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) থেকে ৩ বিলিয়ন ডলার ঋণ নিতে বাধ্য হয়েছে।
মিসরে জনসংখ্যার প্রায় এক-তৃতীয়াংশ বেড়ে উঠছে দারিদ্র্যের সঙ্গে লড়াই করে। হালিমা রাবি তাঁদেরই একজন। এই বিধবা তাঁর পাঁচজন স্কুলগামী শিশুর ভরণপোষণ চালাতে গিয়ে হিমশিম খাচ্ছেন। এখন অবস্থা আরও শোচনীয়। কায়রোর গিজার একটি রাষ্ট্রচালিত হাসপাতালে ক্লিনার হিসেবে চাকরি করা হালিমা বার্তা সংস্থা এপিকে বলেছেন, তাঁর কাছে মাংস আর ডিম এখন বিলাসিতা।
পাকিস্তানে সাত দশকের মধ্যে সর্বোচ্চ মূল্যস্ম্ফীতি হয়েছে। এটা ৩৮ শতাংশ ছাড়িয়ে গেছে। ডলারের বিপরীতে রুপির দাম অর্ধেকের নিচে নেমেছে। তুরস্কে ভূমিকম্পের আগে এক পর্যায়ে মূল্যস্ম্ফীতি ৫৮ শতাংশে পৌঁছেছিল। তবে দেশটির অর্থনীতি ততটা নড়বড়ে হয়নি।
নাইজেরিয়া রাশিয়ার গমের অন্যতম শীর্ষ আমদানিকারক। আফ্রিকার দেশটিতে গড় খাদ্যমূল্য গত বছর ৩৭ শতাংশ বেড়েছে। গমের ঘাটতির মধ্যে কিছু জায়গায় রুটির দাম দ্বিগুণ হয়েছে। রাজধানী আবুজার অন্তত ৪০ শতাংশ বেকারি বন্ধ হয়ে গেছে বলে জানায় এপি। কারণ সেখানে আটার দাম প্রায় ২০০ শতাংশ বেড়েছে।
ইন্দোনেশিয়ার রাজধানী জাকার্তার রাস্তার অনেক খাদ্য বিক্রেতা জানান, পণ্যমূল্যের চাপে চ্যাপ্টা হয়ে যাওয়া ক্রেতাদের কাছে খাবারের দাম বাড়ালে বিক্রি বন্ধ হয়ে যাবে। তাই এক কেজি চালের গুঁড়া দিয়ে আগে তাঁরা ৮টি রুটি বানালেও এখন বানান ১০টি।
ব্যাংকিং জায়ান্ট সিটির গ্লোবাল চিফ ইকোনমিস্ট নাথান শিটস বলেছেন, ভোক্তামূল্য গত বছর ধনী দেশলোতে ৭ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়েছে। দরিদ্র দেশগুলোতে এই হার ৯ দশমিক ৯ শতাংশ। এসঅ্যান্ডপি গোল্ডম্যান স্যাক্স কমোডিটি সূচকে দেখা যায়, গত বছরের জানুয়ারি থেকে জুনের মধ্যে জ্বালানির দাম ৬৮ শতাংশ বেড়েছে। বিশ্বব্যাংকের সামষ্টিক অর্থনীতি, বাণিজ্য ও বিনিয়োগের গ্লোবাল ডিরেক্টর মার্সেলো এস্তেভাও বলেছেন, জ্বালানি আমদানিকারক পাকিস্তান এবং বাংলাদেশ জ্বালানি সংকটে ভুগছে। কারণ তারা ধনী ইউরোপীয় দেশগুলোর মতো স্পট কার্গো আমদানির খরচ বহন করতে পারছে না।
জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থার প্রধান অর্থনীতিবিদ ম্যাক্সিমো তোরেরো বলেছেন, ‘যেসব দেশে গমের ভর্তুকি বেশি; মূল্যবৃদ্ধির মানবিক ও আর্থিক মাশুল তাদের বেশি দিতে হয়েছে। বিশ্বে ক্ষুধা তীব্রভাবে বিরাজ করছে।’
২০২২ সালে বার্ষিক খাদ্যমূল্য সূচক আগের বছরের চেয়ে ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ এবং ২০২০ সালের তুলনায় ৪৬ শতাংশ বেড়েছে। এতে বিশ্বজুড়ে ৩৫ কোটি মানুষ গত বছর তীব্র খাদ্য নিরাপত্তাহীনতার মুখোমুখি হয়েছে।
ভূ-রাজনীতি :
ইউক্রেনে রাশিয়ার আক্রমণ ভূ-রাজনীতিকে বদলে দিয়েছে। নতুন নতুন জোট সংঘাতকে আরও বাড়িয়েছে। ওয়াশিংটন ও বেইজিং ঘিরে জোট গঠনের প্রবণতা জোরালো হয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়নের পররাষ্ট্রনীতির প্রধান জোসেপ বোরেল গত ডিসেম্বরে বলেছেন, ‘আমরা একটি বিশৃঙ্খল বহুমুখী বিশ্বে স্থানান্তরিত হয়েছি, যেখানে সবকিছুই একটি অস্ত্র। শক্তি, ডেটা, অবকাঠামো, অভিবাসন- সবই অস্ত্র। এখন ভূ-রাজনীতি হলো অত্যাবশ্যক শব্দ। সবকিছুই ভূ-রাজনীতি।’
যুদ্ধ ঘিরে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বাধীন ন্যাটো শক্তিশালী হয়েছে। এ সামরিক জোটের পরিধিও বাড়ানো হচ্ছে। সুইডেন ও ফিনল্যান্ড দ্রুতই হয়তো ন্যাটোর সদস্য হবে। ইউক্রেনও যোগ দিতে পারে। দেশটি ইউরোপীয় ইউনিয়নেরও সদস্য হতে চায়। অন্যদিকে রাশিয়া ও চীনের মধ্যে ঘনিষ্ঠতা বেড়েছে। তাদের সঙ্গী হচ্ছে ইরান।
দক্ষিণ এশিয়ায় বাংলাদেশ, ভারত ও পাকিস্তান দুই মেরুর রশি টানাটানির বড় শিকার। পাকিস্তানের সাবেক প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান তো বলেই ফেলেছেন- ইউক্রেন যুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ না নেওয়ায় ওয়াশিংটন তাঁকে ক্ষমতাচ্যুত করেছে। ওয়াশিংটনের পক্ষ নেওয়ার জন্য বাংলাদেশ ও ভারতের ওপরেও প্রবল চাপ আছে।
মধ্য এশিয়া, ককেশাস, বলকান, আফ্রিকা এবং এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলগুলো চীন, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, রাশিয়া এবং তুরস্কের মতো শক্তির প্রভাব বাড়ানোর লড়াইয়ের থিয়েটারে পরিণত হয়েছে। এশিয়ায় প্রাক্তন সোভিয়েত প্রজাতন্ত্রগুলোর ওপর মস্কোর প্রভাব দুর্বল হয়ে পড়েছে। মধ্যস্থতাকারী হিসেবে তুরস্ক নতুন ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছে।
অর্থনৈতিক সংকট থেকে বিভিন্ন দেশে রাজনৈতিক সংকট ঘনীভূত হয়েছে। এ সংকটেও পরাশক্তির মদদ আছে বলে মনে করা হয়। গবেষক নাওমি হোসেন এবং জেফ্রি হ্যালক এক গবেষণায় লিখেছেন, ২০২২ সালে প্রতিবাদের একটি অভূতপূর্ব তরঙ্গ দেখেছে বিশ্ব। বেশ কয়েকটি দেশে এই বিক্ষোভ আরও বৃহত্তর জাতীয় রাজনৈতিক সংকটে পরিণত হয়েছে। সেখানে উল্লেখযোগ্য সহিংসতা, হতাহতের ঘটনা এবং রাজনৈতিক পরিবর্তনের দাবি উঠেছে।
রাশিয়ার অর্থনীতি :
যুদ্ধ শুরুর পর বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন, রাশিয়ার জিডিপি ২০২২ সালে ১৫ শতাংশ পর্যন্ত সংকুচিত হবে। ফলে গত ১৫ বছরের অর্থনৈতিক অর্জন নিশ্চিহ্ন হয়ে যাবে। তবে তা হয়নি। নজিরবিহীন পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞায় নিঃসন্দেহে গত ১২ মাস রাশিয়ার অর্থনীতির জন্য খুব চ্যালেঞ্জিং ছিল। এরপরও এটি প্রত্যাশার চেয়ে অনেক ভালো করেছে। এ সময় রাশিয়ার জিডিপি ৩ থেকে ৪ শতাংশ কমেছে। রাশিয়ার সরকারি পরিসংখ্যান সংস্থা অবশ্য বলেছে, ২০২২ সালে তাদের অর্থনীতি ২ দশমিক ১ শতাংশ সংকুচিত হয়েছে।
তবে দেশটির সামরিক ক্ষতি অপরিমেয়। দেশটির দেড় লক্ষাধিক সেনা নিহতসহ দুই লাখ হতাহত হয়েছে বলে দাবি পশ্চিমাদের। যুদ্ধ চালিয়ে যেতে এখন ইরান ও উত্তর কোরিয়ার মতো দেশের সাহায্য নিতে হচ্ছে পুতিনকে। পশ্চিমারা এখন চাচ্ছে, রাশিয়াকে এমন অবস্থায় নিয়ে যেতে, যাতে ভবিষ্যতে দেশটি আর কোনো দেশে হামলা চালানোর হিম্মত না দেখায়।
ইউক্রেনের ক্ষতি
:গত সেপ্টেম্বরে বিশ্বব্যাংক অনুমান করেছে, দেশটির পুনর্নির্মাণে প্রায় ৩৫০ বিলিয়ন ডলার খরচ হতে পারে। বিশেষজ্ঞরা ভবিষ্যদ্বাণী করেছেন, শেষ পর্যন্ত এই ক্ষতি এর বহু গুণ হবে। শুধু বাজেট ঘাটতি মেটাতেই দেশটির গত বছরের শেষ নাগাদ ৩৮ বিলিয়ন ডলার প্রয়োজন ছিল। ইউরোপীয় ইউনিয়ন দেশটির বাজেট ঘাটতি মেটাতে ১৮ বিলিয়ন ডলার এবং ওয়াশিংটন আরও ১০ বিলিয়ন ডলার তহবিলের সিংহভাগ দেবে বলে আশা করা হচ্ছে।
গত ১২ মাসে ইউক্রেন বিদেশি উৎস থেকে ৩৬ দশমিক ৪ বিলিয়ন ডলার পেয়েছে। এর মধ্যে প্রায় ৬০ শতাংশ ছিল রেয়াতি ঋণ এবং বাকিটা অনুদান। ওয়াশিংটন কিয়েভের শীর্ষ ঋণদাতা ছিল। এই সময়ে যুক্তরাষ্ট্র ১৩ বিলিয়ন ডলার অনুদান দিয়েছে। ইউরোপীয় ইউনিয়ন অনুদান এবং ঋণ মিলিয়ে ১১ বিলিয়ন ডলারের বেশি দিয়েছে।
ইউক্রেনের মানবিক ক্ষতি অসীম। দেশটির ২১ হাজার বেসামরিক লোক হতাহত হয়েছে বলে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের দাবি। এর মধ্যে নিহত হয়েছে ৮ হাজার। দেশটির ৮০ লাখ নাগরিক ইউরোপের বিভিন্ন দেশে আশ্রয় নিয়েছে। দেশের ভেতরেও উদ্বাস্তু হয়েছে লাখ লাখ মানুষ।
শেষ কোথায় :
পুতিন ২০২১ সালে পাঁচ হাজার শব্দের একটি নিবন্ধে ইউক্রেন আক্রমণের ভিত্তি স্থাপন করেছিলেন। এতে তিনি একটি জাতি হিসেবে ইউক্রেনের বৈধতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছিলেন। কিয়েভকে মস্কোর বলয় বা কক্ষপথ থেকে চলে যেতে দেওয়া একটি ঐতিহাসিক ভুল বলে তিনি বিশ্বাস করেন। ইউক্রেনকে ন্যাটোর সদস্যপদ দেওয়া রোধ এবং রাশিয়ার প্রভাব বলয়ে রাখা ও নিরস্ত্রীকরণের দাবিতে পুতিন গত বছরের ২৪ ফেব্রুয়ারি যুদ্ধ শুরু করেছিলেন এবং মনে করেছিলেন, এটি কয়েক দিনের মধ্যে শেষ করতে পারবেন। ইউক্রেনে পুতুল সরকার বসানো তাঁর লক্ষ্য ছিল বলে মনে করা হয়।