দু’দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা। শুক্রবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) তিনি টুঙ্গিপাড়ায় অবস্থান করবেন; পরের দিন শনিবার (২৫ ফেব্রুয়ারি) কোটালিপাড়ার তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয়ে মাঠে জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন।
এসময় ৪২টি উন্নয়ন প্রকল্পের উদ্বোধন এবং ০৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর তিনি স্থাপন করবেন বলে জানা গেছে গোপালগঞ্জ জেলা প্রশাসন সূত্রে। প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে মঞ্চ তৈরির কাজ সম্পন্ন করা হয়েছে।
তার আগমন উপলক্ষে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্ততি সম্পন্ন হয়েছে। জেলা জুড়ে নেওয়া হয়েছে কয়েক স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।
জেলা প্রশাসন সূত্রে জানা গেছে ,২৪ ও ২৫শে ফেব্রুয়ারী দুই দিনের সফরে গোপালগঞ্জে যাবেন আওয়ামী লীগ সভানেত্রী ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সফরের প্রথমদিন শুক্রবার সকালে সড়ক পথে গণভবন থেকে টুঙ্গিপাড়ার উদ্দেশ্যে রওনা করবেন প্রধানমন্ত্রী। টুঙ্গিপাড়ায় পৌঁছে জাতির পিতার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করবেন তিনি, শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে উপজেলার নেতাকর্মীদের সাথে আলোচনাসভায় অংশ নেবেন এবং ওই দিন টুঙ্গিপাড়ায় নিজ বাড়িতে রাত্রিযাপন করবেন।
সফরের দ্বিতীয় দিন প্রধানমন্ত্রী বেলা এগারোটায় সড়কপথে টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়ায় তালিমপুর তেলিহাটি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে জনসমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হবেন। সেখানে পৌছে প্রথমে তিনি জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। পরে বিভিন্ন দপ্তরের ৪২টি প্রকল্পের শুভ উদ্বোধন ও ৬টি প্রকল্পের ভিত্তি প্রস্তর স্থাপন করবেন।ওইদিনই বিকালে গোপালগঞ্জ থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে সড়ক পথে রওনা হবেন তিনি।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী আগমন উপলক্ষে টুঙ্গিপাড়া ও কোটালীপাড়ায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে সকল ধরণের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আসন্ন এ সফরকে ঘিরে জেলা, উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে গোপালগঞ্জ জেলা আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের মধ্যে। ঢাকা খুলনা মহাসড়কসহ জেলার প্রতিটি রাস্তার দু’পাশ তোরণ, ব্যানার ও ফেস্টুনে ছেয়ে গেছে।
আগামী বছর সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে এজন্য সভানেত্রীর নানা ধরনের দিক নির্দেশনা প্রদান করবেন বলে মনে করছেন সাধারণ মানুষ। জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে মনে করেছেন নেতাকর্মীরা ।
২২শে ফেব্রুয়ারী বুধবার বিকালে কোটালীপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশস্থল পরিদর্শন করেছেন কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের একটি প্রতিনিধি দল । এসময় প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ জনসমুদ্রে পরিনত হবে বলে আশা ব্যক্ত করেন তারা।
এ বিষয়ে জনসমাবেশের সমন্বায়ক শেখ হেলাল উদ্দিন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় সাড়ে চার বছর পর তার নিজ নির্বাচনী এলাকায় জনসমাবেশে বক্তব্য রাখবেন। তার এই জনসমাবেশে জনসমুদ্রে পরিণত হবে বলে আমরা আশা করছি।
টুঙ্গিপাড়া পৌরসভার মেয়র শেখ তোজাম্মেল হক টুটুল বলেন, প্রধানমন্ত্রীর আগমন উপলক্ষে ইতোমধ্যে আমাদের টুঙ্গিপাড়ায় সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। এছাড়াও প্রধানমন্ত্রী টুঙ্গিপাড়া থেকে কোটালীপাড়া যাওয়ার জন্য যে রাস্তাগুলো ব্যবহার করবেন সেসব রাস্তা গুলো ইতোমধ্যে আমরা সংস্কার করা হয়েছে। আশা করছি প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সফল হবে।
কোটালিপাড়া উপজেলার চেয়ারম্যান বিমল কৃষ্ণ বিশ্বাস বলেন,কোটালিপাড়ায় প্রধানমন্ত্রীর জনসমাবেশ উপলক্ষে আমাদের সব ধরনের প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। জনসমাবেশস্থলে মঞ্চ তৈরির কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে। তার এই জনসমাবেশকে কেন্দ্র করে কোটালিপাড়ার সকল নেতাকর্মী ও স্থানীয়দের মধ্যে ব্যপক উৎসাহ উদ্দীপনা বিরাজ করছে।
এ বিষয়ে গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসক কাজী মাহবুবুল আলম বলেন, প্রধানমন্ত্রীর সফরকে ঘিরে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। নেওয়া হয়েছে কয়েকস্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা।পোশাকে ও সাদা পোশাকে বিপুল সংখ্যক আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্য নিয়োজিত থাকবেন। আমরা আশাবাদী প্রধানমন্ত্রীর এ সফর সুন্দর ও সাফল্যমন্ডিত হবে।
