পাকিস্তানের সিন্ধ প্রদেশের রাজধানী করাচির পুলিশ সদর দপ্তরে হামলার ঘটনা ঘটেছে। এতে ৯ জন নিহত হয়েছেন। নিহতদের মধ্যে কমপক্ষে পাঁচজন সন্ত্রাসী। এছাড়া পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্যসহ আরও চারজন প্রাণ হারিয়েছেন।
শুক্রবার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাতে এই হামলা ও প্রাণহানির ঘটনা ঘটে বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে পাকিস্তানি সংবাদমাধ্যম দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল।
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, শুক্রবার রাতে জঙ্গিরা করাচির শারা ফয়সালে অবস্থিত পুলিশ সদর দপ্তরে হামলা চালায়। এসময় করাচি পুলিশ প্রধানের অফিসের অভ্যন্তরে বন্দুকযুদ্ধে কমপক্ষে পাঁচ সন্ত্রাসী নিহত এবং পুলিশসহ আরও চারজন প্রাণ হারান।
মূলত শুক্রবার রাতে করাচি সদর থানার পাশেই অবস্থিত এই পুলিশ সদর দপ্তরে অজ্ঞাত সংখ্যক সন্ত্রাসী গুলিবর্ষণ শুরু করে। এখানেই অবস্থিত পাশাপাশি বেশ কয়েকটি ভবন পুলিশ অফিসার ও তাদের পরিবারের সদস্যদের বাসভবন হিসেবে ব্যবহৃত হয়।
দ্য নিউজ ইন্টারন্যাশনাল বলছে, রেঞ্জার্স এবং পুলিশ সদস্যসহ চারজন এই হামলায় প্রাণ হারিয়েছেন। এছাড়া আরও ১৮ জন আহত হয়েছেন বলে কর্মকর্তারা জিও নিউজকে নিশ্চিত করেছেন। কর্মকর্তারা বলছেন, হামলার সময় কমপক্ষে তিনজন জঙ্গি নিজেদের উড়িয়ে দেয় এবং বন্দুকযুদ্ধে আরও দু’জন গুলিবিদ্ধ হয়ে প্রাণ হারায়।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন পুলিশ কর্মকর্তা জিও নিউজকে বলেছেন, হামলাকারীরা পুলিশের ইউনিফর্ম পরে অফিসে প্রবেশ করেছিল।
এদিকে নিষিদ্ধ গোষ্ঠী তেহরিক-ই তালেবান পাকিস্তান (টিটিপি) এই হামলার দায় স্বীকার করেছে বলে জানিয়েছে বিবিসি। বিবিসি সংবাদদাতারা বলছেন, হামলার পর সেখানে দু’পক্ষের মধ্যে ব্যাপক গোলাগুলি হয়েছে, এবং সম্ভবত গ্রেনেডের একাধিক বিস্ফোরণ হয়েছে।
সংঘের্ষের সময় পুলিশ সদর দপ্তরের ভেতরে থাকা কর্মীরা বাতি নিভিয়ে দিয়েছিলেন এবং ভেতরে ঢোকার দরোজা অবরুদ্ধ করে দেন। বিবিসির উর্দু বিভাগ জানিয়েছে, করাচির পুলিশের সদর দপ্তর শহরের শারায় ফয়সাল রোডে অবস্থিত।
পাকিস্তানের প্রতিরক্ষা মন্ত্রী খাজা আসিফ জিও নিউজের শাহজেব খানজাদাকে বলেছেন, এই হামলার বিরুদ্ধে কেবল নিন্দা জানানোই যথেষ্ট নয় এবং জঙ্গিদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে।