রূপসা খেয়া ঘাট ইজারা দিতে খুলনা জেলা পরিষদ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করায় ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছে খুলনা সিটি করপোরেশন (কেসিসি)। গণমাধ্যমে বিজ্ঞপ্তিতে দিয়ে এ ঘটনাকে ‘আপত্তিকর ও নিন্দনীয়’ বলে মন্তব্য করেছে সংস্থাটি।
জানা গেছে, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ১৬টি ঘাট ইজারার বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে জেলা পরিষদ। সোমবার বিজ্ঞপ্তিটি বিভিন্ন দৈনিক প্রকাশিত হয়। এর মধ্যে ১৫ নম্বরে রূপসা খেয়া ঘাট ইজারার তথ্য উল্লেখ রয়েছে।
কেসিসির বৈষয়িক কর্মকর্তা নুরুজ্জামান তালুকদার জানান, রূপসা ঘাটে ফেরী চলাচল বন্ধ হওয়ার পর ২০০৫ সালের ১২ জুন সড়ক ও জনপথ বিভাগ রূপসা ঘাটটি কেসিসি’র কাছে হস্তান্তর করা হয়। সেই থেকে কেসিসি ঘাটটি পরিচালনার পাশাপাশি উন্নয়ন ও রক্ষণাবেক্ষণ করে আসছে। হঠাৎ করে জেলা পরিষদের ‘খেয়াঘাট ইজারার দরপত্র বিজ্ঞপ্তি’তে রূপসা খেয়া ঘাটের নাম দেখে সবাই অবাক।
বিকালে গণমাধ্যমে একটি সংবাদ বিজ্ঞপ্তি পাঠায় কেসিসি। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, জেলা পরিষদের বিজ্ঞপ্তিতে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে রূপসা খেয়াঘাটের নাম অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। যা আপত্তিকর ও নিন্দনীয়। দরপত্রের ১৫নং ক্রমিকে উল্লিখিত ‘রূপসা খেয়াঘাট’-এর বিপরীতে কোন প্রকার দরপত্র দাখিল/অংশগ্রহণ থেকে বিরত থাকার জন্য কেসিসি কর্তৃপক্ষ সংশ্লিষ্টদের প্রতি আহবান জানাচ্ছে।’
খুলনা জেলা পরিষদের প্রশাসনিক কর্মকর্তা মাহবুবুর রহমান জানান, ১৮৮৫ সালে জেলা পরিষদ প্রতিষ্ঠিত হয়। রূপসাসহ সব ঘাটের মালিকানা জেলা পরিষদের ছিলো। বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সংস্থা ঘাটটি ইজারা নিয়ে জেলা পরিষদের সঙ্গে বিরোধে জড়ায়। এনিয়ে আদালতে একাধিক মামলা চলছে। সম্প্রতি মামলাটি নিষ্পত্তি হয়েছে। এতে ঘাটের প্রকৃত মালিকানা জেলা পরিষদ ফিরে পেয়েছে। এজন্য এবার দরপত্র আহ্বান করা হয়েছে।