জার্মান আখেন শহর থেকে বাংলাদেশের খুলনায় ভিটামিনযুক্ত ওষুধ পাঠিয়েছিল দুই কেজির প্যাকেটে। কিন্তু খুলনার পরিবর্তে সেই ওষুধের প্যাকেট ডেলিভারী দেয়া হয় ঢাকা বৈদেশিক ডাক সিইডি / ডিসিএল সেকশন থেকে, আর প্যাকেটে ছিল এক কেজি ওষুধ। দুই কেজির প্যাকেটে এক কেজি কম সহ বিভিন্ন ওষুধের পাতা থেকে ওষুধ খুলে নেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিয়ে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড চেয়ারম্যান এবং পোস্টমাষ্টার জেনারেল বরাবরে অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
জার্মানীর আখেন শহরে থেকে ডা: তাসলিমা রাকিব তার বড় ভাই এনটিভির খুলনা ব্যুরো প্রধান ১১ নুর নগর মেইন রোড়, খুলনা -৯০০০ ঠিকানায় ভিটামিন যুক্ত ওষুধ প্রেরণ করেন ডিএইচএল ০৪ জানুয়ারী ২০২৩ তারিখে। কিন্তু ইতিপূর্বে এই ধরনের প্যাকেট খুলনায় ডেলিভারী দিলেও এবার বৈদেশিক ডাক ঢাকা- সুপারভাইজার ২৩ জানুয়ারী এক পত্র দিয়ে জানান, শুল্ক আইনে প্যাকেট জব্দ করা হয়েছে। এনআইডি কার্ড সহ ৪৫ দিনের মধ্যে যোগাযোগ করতে বলা হয়।
৩১ জানুয়ারী প্রাপক বৈদেশিক ডাক কার্যালয়ের শুল্ক বিভাগের রাজস্ব কর্মকর্তা মো: আবু রায়হানের সাথে দেখা করে কি কারণে প্যাকেট জব্দ হয়েছে এবং কেন খুলনার প্যাকেট ঢাকা হতে ডেলিভারী নিতে হবে জানতে চান। রাজস্ব কর্মকর্তা মোঃ আবু রায়হান জানান, খুলনায় বৈদেশিক ডাক বিভাগের সেকশন না থাকায় ঢাকা হতে ডেলিভারী নিতে হচ্ছে। তিনি প্যাকেট জব্দ করা হয়নি জানিয়ে শুল্কায়ন করার কথা জানান। পরে প্যাকেট খুলে ঔষধ দেখে ভ্যাট সহ বিভিন্ন শুল্ক কর বাবদ ৪,৩৩২.০০ টাকা কর ধার্য করেন। তখন দেখানো হয় প্যকেটির ওষুধ এক কেজি তিন গ্রাম। অর্থাৎ দুই কেজির প্যাকেটে প্রায় এক কেজি ওষুধ কম। কিন্তু প্যাকেটের উপর ডিএইচএল স্ক্যানযুক্ত ষ্টিকার দেয়া রয়েছে, যে প্যাকেটের ওষুধ দুই কেজি।
ওষুধের প্যাকেটে কম থাকার বিষয়টি জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের সদস্য হোসেন আহমেদের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি জানান, প্যাকেট রক্ষণাবেক্ষনের দায়িত্ব ডাক বিভাগের।
এব্যাপারে পোস্টমাষ্টার জেনারেল, ডেপুটি পোস্টমাষ্টার জেনারেল, জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের চেয়ারম্যান বরাবরে লিখিত অভিযোগ দিয়েছেন ভুক্তভোগী।
বিভিন্ন সূত্রে জানা গেছে, বিদেশ থেকে ডাকযোগে আসা বিভিন্ন পন্য বিমান বন্দরের মত বৈদেশিক ডাক বিভাগে খুলে নিজেরা পকেটস্থ করার একটি বড় সিন্ডিকেট রয়েছে। বেশীর ভাগ ক্ষেত্রে মুল্যবান সামগ্রি পরিবর্তন করে অন্য পন্য ঢুকিয়ে দেয়া হয়।