করোনা ও ডেঙ্গুর ধকল কেটে গেছে। নভেম্বর-মার্চ নিপাহ নিয়ে আতঙ্ক। এ সময়টা খেঁজুরের রসের মৌসুম। কাঁচা রসের পানে নিষেধাঙ্গা আরোপ করে সতর্ক থাকতে বলেছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর। খেঁজুর গাছের পীঠ স্থান খ্যাত যশোর, ঝিনাইদহ ও চুয়াডাঙ্গা ওপর স্বাস্থ্য বিভাগের কড়া নজরদারি। নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্তদের চিকিৎসার সেই শয্যাগুলো প্রস্তুত রাখা হয়েছে, সেসব শয্যাই করোনা রোগীর চিকিৎসা হয়েছে। খুলনা অঞ্চলের ১০ জেলায় নিপাহ ভাইরাসের ঝুঁকি কম।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের শণাক্ত করা ৩২ জেলার মধ্যে এ অঞ্চলের কোনো জেলার নাম সতর্ক তালিকায় রাখা হয়নি। নিপাহ ভাইরাসজনিত জ¦র, শাসকষ্ট, খিচুনি ইত্যাদি লক্ষণ পাওয়া যায়নি। যশোর, ঝিনাইদহ, চুয়াডাঙ্গা জেলা, খুলনার ফুলতলা, ডুমুরিয়া, পাইকগাছা, দিঘলিয়ার খেঁজুর গাছগুলোর ওপর স্থানীয় স্বাস্থ্যকর্মীদের কড়া নজর। নভেম্বর থেকে ৯ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত এ অঞ্চলে নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগী শণাক্ত হয়নি। এমনকি এখনও সরকারি হাসপাতালগুলোতে কোনো রোগী ভর্তি হয়নি।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের এ সূত্র বলেছে, জেলা সদরে ১৫ শয্যা ও উপজেলা সদরে ১০ শয্যা নিপাহ ভাইরাসে আক্রান্ত রোগীর জন্য প্রস্তুত রয়েছে। এসব শয্যাগুলোতে ২০২০ ও ২০২১ সালে করোনা রোগী চিকিৎসা হয়।
খুলনা বিভাগীয় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক ডা. ফেরদৌস আক্তার জানান, এ অঞ্চলে খেজুরের কাঁচা রস পান না করার জন্য পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। একই সাথে পাখির খাওয়া পেঁপে, কলা, পেয়ারা খাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে।
খুলনা সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. শেখ সাদিয়া মনোয়ারা ঊষা তথ্য দিয়েছেন, নিপাহ ভাইরাসের বড় ধরনের ঝুঁকি এ অঞ্চলে নেই। বাঁদুরের লালা ও মল থেকে ভাইরাস ছড়ানোর সম্ভাবনা থাকে। তিনি জানান, এ ভাইরাস এক জনের শরীর থেকে সহজেই অন্য জনের শরীরের প্রবেশ করে।
আইইডিসিআর-এর সাবেক প্রধান বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এ এস এম আলমগীর বলেন, নিপাহ ভাইরাস বিপদজনক। এ রোগ থেকে বাঁচার এক মাত্র উপায় কাঁচা রস পান না করা এবং পাখির খাওয়া আঙ্কশিক ফল না খাওয়া। দেশে প্রতিবছরই নিপাহ ভাইরাস পাওয়া যাচ্ছে। এ ভাইরাসে আক্রান্ত হলে মৃত্যুর সম্ভাবনা বেশি থাকে বলে তিনি উল্লেখ করেন।
খুলনা গেজেট/কেডি