সুন্দরবন পূর্ব বন বিভাগের শরণখোলা রেঞ্জের সুপতি স্টেশনের চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় আর বাঘগুলোকে দেখা যাচ্ছে না। বাঘের ডাকও শুনতে পাচ্ছেন না বনরক্ষিরা। মিস্টি পানির পুকুর পেয়ে পানি খেতে নেমেছিল বাঘগুলো। বনরক্ষিদের সতর্ক উপস্থিতি টের পেয়ে বনের গহীনে ফিরে গেছে তারা এমনটি ধারণা করছে বন বিভাগ।
এর আগে শুক্রবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর থেকে শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের আগ মুহুর্ত পর্যন্ত কয়েকবার বাঘ দেখেছে বনরক্ষিরা।
চান্দেশ্বর অফিসের ইনচার্জ মোঃ ফারুক আহমেদ বলেন, শনিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) দুপুরের আগ মুহুর্তে একবার বাঘগুলোকে দেখা গেছে। পরবর্তীতে আর দেখা যায়নি। বাঘের গর্জনও শুনতে পারিনি আমরা। মূলত যতদূর মনে হচ্ছে ঘুরতে ঘুরতে অফিস এলাকায় প্রবেশ করেছে। পরবর্তীতে পরিচিত এলাকা না হওয়ায় এবং বনরক্ষিদের উপস্থিতি টের পেয়ে চলে গেছে।
তিনি আরও বলেন, বাঘ গুলো খুবই শান্ত ছিল। কোন হিংস্রতা প্রদর্শণ করেনি তারা। এরপরেও আমরা খুবই সতর্ক ছিলাম। সতর্কতার সাথে ছবি তুলেছি। এখন আমরা সতর্ক অবস্থায় আছি। বাঘ আসলেও যাতে কারও কোন ক্ষতি নায় এবং বাঘ গুলোকে কেউ যাতে বিরক্ত না করে সে জন্য আমরা সকলকে নির্দেশনা দিয়েছি।
বন কর্মকর্তা আজাদ কবির বলেন, মানুষ ছাড়া অন্য কোন প্রাণি মানুষের সংস্পর্শে আসতে চায় না। তেমনি বাঘও মানুষের কাছ থেকে দূরে থাকতে চায়। তবে বাঘ কখনও নিজেকে লুকিয়ে রাখতে চায় না। ক্ষুধার্থ হলে বাঘ রাগান্বিত হয়ে যায়। এই সময় সে অতিরিক্ত ঘোরা ফেরা করে। পেটে ক্ষুদা না থাকলে বাঘ বিশ্রাম, নিজেদের মধ্যে খুনঠুশি ও ঘোরাফেরা করতে পছন্দ করে। খুব ক্ষুধার্থ ও নিজেকে নিরাপত্তাহীন মনে হলেই বাঘ মানুষের উপর আক্রমণ করে। এছাড়া কখনও বাঘ মানুষের উপর আক্রমণ করে না।
চান্দেশ্বর অফিস এলাকায় বাঘ আসা সম্পর্কে আজাদ কবির আরও বলেন, সুন্দরবনের মধ্যে বাঘ ঘুরে বেড়াবে এটাই স্বাভাবিক। তবে যেসব স্থানে মানুষ থাকে সেখানে বাঘ যাওয়ার কথা না। ঘুরতে ঘুরতে পথ ভুলে ওই এলাকায় গিয়েছে। পরবর্তীতে যখন বুঝতে পেরেছে, তখন ওরা নিজেদের পছন্দ মত স্থানে ফিরে গেছে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড