দীর্ঘ প্রায় তিন দশক ধরে চলে আসা বাবরি ধ্বংস মামলায় অভিযুক্ত সকলকেই খালাস দিয়েছে আদালত। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আডবাণী, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতা-নেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানি দেওয়ার অভিযোগ ছিল।
বুধবার ( ৩০ সেপ্টেম্বর) লখনউয়ের বিশেষ সিবিআই আদালতে তার রায় ঘোষণা করতে গিয়ে বিচারক সুরেন্দ্রকুমার যাদব জানান, অভিযুক্তদের কারও বিরুদ্ধে উপযুক্ত কোনও প্রমাণ মেলেনি। তাই তাঁদের বেকসুর খালাস করা হল। একই সঙ্গে, বাবরি ধ্বংসের ঘটনা পূর্ব পরিকল্পিত নয় বলেও জানিয়ে দেন বিচারক।
১৯৯২ সালের ৬ ডিসেম্বর বাবরি মসজিদ ধ্বংস করেছিল উগ্রপন্থী হিন্দু করসেবকরা। প্রবীণ বিজেপি নেতা লালকৃষ্ণ আদভানি, মুরলিমনোহর জোশী, উমা ভারতীর মতো নেতানেত্রীদের বিরুদ্ধে মসজিদ ভাঙার ষড়যন্ত্র, পরিকল্পনা ও উস্কানির অভিযোগ আনা হয়।
বাবরি ধ্বংস মামলায় মোট ৪৯ জন অভিযুক্তের মধ্যে বিশ্ব হিন্দু পরিষদের অশোক সিঙ্ঘল, শিবসেনার বাল ঠাকরে, অযোধ্যার পরমহংস রামচন্দ্র দাসের মতো ১৭ জন ইতিমধ্যে মারা গেছেন। প্রায় ২৮ বছর আগের ওই ঘটনা চিরকালের মতো বদলে দিয়েছিল ভারতের সামাজিক এবং রাজনৈতিক গতিপথ। এ নিয়ে ভারতে রীতিমতো হিন্দু-মুসলিম দাঙ্গায় মারা যায় প্রায় দুই হাজার মানুষ।রায় ঘোষণার সময় অভিযুক্তদের সশরীরে আদালতে হাজির থাকতে নির্দেশ দেয়া হয়েছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে হৃষীকেশের হাসপাতালে ভর্তি উমা ভারতী। মহামারীর মধ্যে বয়সজনিত কারণে লালকৃষ্ণ আদভানি এবং মুরলিমনোহর জোশী আদালতে যাবেন না বলে জানিয়ে দিয়েছিলেন আদভানির সচিব দীপক চোপড়া। সূত্র : আনন্দবাজার
খুলনা গেজেট / এমএম