খুলনা, বাংলাদেশ | ২৬শে জ্যৈষ্ঠ, ১৪৩২ বঙ্গাব্দ | ৯ই জুন, ২০২৫ খ্রিস্টাব্দ

Breaking News

  খুলনার রূপসায় গৃহবধূকে শ্বাসরোধে হত্যা ও ভ্যানচালকের অর্ধগলিত লাশ উদ্ধার
  শহীদের রক্তের অমর্যাদা হয় এমন নির্বাচন চায় না জামায়াত : আমীর

কাঁচাপাটে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের প্রভাব খুলনা মোকামে

 নিজস্ব প্রতিবেদক

বিশ্বের অনেক দেশের বাজার হাত ছাড়া হলেও বেসরকারিভাবে কাঁচা পাট বিক্রিতে সম্ভাবনা দেখছে খুলনার ব্যবসায়ীরা। তবে বিদেশে কাঁচাপাট রপ্তানিতে বড় ধাক্কা খেয়েছে ইউক্রেন  ও রাশিয়ার যুদ্ধের কারণে। দ্বিতীয় আঘাত আমদানিকারক দেশ গুলোতে ডলারের মূল্য বৃদ্ধিতে। তৃতীয়তঃ অনেক দেশে কাঁচা পাটের পরিবর্তে পাটজাত দ্রব্যের কদর বেড়েছে। ফলে দৌলতপুর মোকামে রপ্তানিকারকরা বেসরকারি পাটকলের কাছে কাঁচা পাট বিক্রি টিকে থাকার চেষ্টা করছেন।

পাট অধিদপ্তর,খুলনার তথ্য অনুযায়ী, ২০১৯-২০২০ সালে করোনার কারণে মোংলা বন্দর দিয়ে রপ্তানি হ্রাস পায়। পরের বছর বন্যার কারণে  উৎপাদন কম হয়। ২০২১ সালের বেসরকারি পাটকলগুলোর চাহিদা ও কাঁচা পাটের মূল্য বাড়ায় রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়ে।

বর্তমানে মোংলা বন্দর দিয়ে ভারত, পাকিস্তান, নেপাল, চীন, ব্রাজিল, ই উকে, জিবুতি, ভিয়েতনাম, অস্ট্রিয়া, স্পেন, জার্মানি, মেক্সিকো,  ইউ এস এ,মালয়েশিয়া, ফ্রান্স, জাপান, কোরিয়া, তুর্কি, ইন্দোনেশিয়া ও বেলজিয়ামের ও পাট রপ্তানি হচ্ছে। চলতি  অর্থ বছরের প্রথম ছয় মাসে  ১৯ কোটি ২২ লাখ টাকা মূল্যের ১৪ হাজার ৭৫০  বেল পাট রপ্তানি হয়। ২০২১ -২২ অর্থবছরে শেষ ছয় মাসে ৩৮ কোটি ১৮ লাখ টাকা মূল্যের ১২ হাজার বেল পাট রপ্তানি হয়।

২০২১ -২২অর্থবছরে (১২ মাস) ৫৩ কোটি ৫১ লাখ টাকা মূল্যের ৩১ হাজার বেল পাট রপ্তানি হয়।

সুত্র বলছে, বাংলা বন্ধ এ বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারতে কাঁচা পাট রপ্তানি হচ্ছে। দৌলতপুর মোকামের পাট রফতানি কারক  শেখ কওছার আলির   ভাষ্য ডলার সঙ্কটের কারণে পাকিস্তান চাহিদা অনুযায়ী পাট কিনতে পারছে না।চীন, পাকিস্তান ও তুরস্কের বাজার সংকুচিত হয়েছে। ইউক্রেন -রাশিয়ার মধ্যকার যুদ্ধে রপ্তানি বাণিজ্যে ভাটা পড়েছে। ভারতের বাজার  ভালো যাচ্ছে । সেখানে প্রতি মেঃ টন প্রকারভেদে ৬শ’ থেকে ৯শ’  ডলারে বিক্রি হচ্ছে।

তিনি জানান, স্থানীয় বেসরকারি পাটগুলোতে চাহিদা বেশি থাকায় বহিঃর্বিশ্বের তুলনায় কম মূল্য এখানে বিক্রি করতে হচ্ছে।

বাংলাদেশ জুট অ্যাসোসিয়েশনের (বিজেএ) শেখ সৈয়দ আলী অবশ্য কাঁচা পাটের বাজার কিছুটা ভাল হচ্ছে। স্থানীয়ভাবে চাহিদা থাকায় ব্যবসয়ীরা টিকে থাকার চেষ্টা করছেন। আশা করছি সামনে আরো ভাল হবে।

খুলনা গেজেট/কেডি




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!