ফ্রী ফায়ার গেম খেলা নিয়ে দ্বন্দ্ব বাধে কিশোর সাব্বির ও ফেরদাউসের মধ্যে। গেমে হেরে গিয়ে মৃত কিশোর ফেরদৌসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এর প্রতিশোধ নিতে হত্যার পরিকল্পনা আসে তার মাথায়। পরিকল্পনা অনুযায়ি তাকে হত্যা করে পালিয়ে যায় ফেরদাউস। আর এ হত্যাকান্ডের রহস্য উন্মোচন হয় ফেরদাউস গ্রেপ্তারের মাধ্যমে। ঢাকার নারায়নগঞ্জ এলাকা থেকে পিবিআইয়ের জালে গ্রেপ্তার হয় সে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে হত্যাকান্ডের দায় স্বীকারও করে সে। মঙ্গলবার বাগেরহাট পিবিআই কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনের আয়োজন করেন পুলিশ সুপার। সেখানে সাব্বির হত্যাকান্ডের বিস্তারিত জানান তিনি।
সংবাদ সম্মেলনে পুলিশ সুপার মোঃ আব্দুর রহমান বলেন, নিহত সাব্বির শেখ, খুলনার তেরখাদা উপজেলার কুশলা গ্রামের শেখ বোরহানের ছেলে। তেরখাদা ও মোল্লাহাটের ছোট কাচনাসহ বিভিন্ন এলাকায় ভ্যান চালাত। আসামি ফেরদাউস, বাগেরহাট সদর থানার ডিংসাইপাড়া এলাকার মোঃ মনিরুল শেখের ছেলে। পেশায় একজন গ্যারেজ মেকানিক। উভয়ে তারা একে অপরের বন্ধু। তারা মোবাইলে ফ্রী ফায়ার গেম খেলত।
একদিন গেম খেলে হেরে যায় ফেরদাউসকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে সাব্বির। ফেরদাউস এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে তার ভ্যান বিক্রি করে দেওয়ার কথা চিন্তা করে।
পূর্ব পরিকল্পনা অনুযায়ী ৯ জানুয়ারি পৌনে তিনটার সময় বায়জিদ নামের এক শিশুর মাধ্যমে ফেরদৌস তাকে ডেকে আনে। গ্যারেজের পিছনে থাকা কক্ষের একটি খাটের উপর বসে দুইজন ফ্রী ফায়ার গেম খেলা শুরু করে। গেম খেলার এক পর্যায়ে ফেরদৌস পিছন থেকে একটি গামছা গলায় পেচিয়ে শ্বাসরোধ করে সাব্বিরকে হত্যা করে।
খাটের এক পাশে সাব্বিরের মরদেহ কম্বল দিয়ে ঢেকে রাখে সে। সাব্বিরের ভ্যানটি কেটে ভাঙ্গারি হিসেবে বিক্রি করে দেয়। ভ্যানের চারটি ব্যাটারিও স্থানীয় একটি দোকানে বিক্রি করে দেয়। ওই রাতেই গ্যারেজের পার্শ্ববর্তী শেখ ওবায়দুর রহমানের গোডাউনের নিচে সাব্বিরের মরদেহ ফেলে নারায়নগঞ্জ পালিয়ে যায় ফেরদাউস। গোপন সংবাদের ভিত্তিতে তাকে নারায়নগঞ্জ জেলার সোনারগাও থানার মেঘনা ব্রীজ এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। জিজ্ঞাসাবাদ শেষে তাকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠানো হয়েছে।
খুলনা গেজেট/ এসজড