খুলনা, বাংলাদেশ | ১১ অগ্রহায়ণ, ১৪৩১ | ২৬ নভেম্বর, ২০২৪

Breaking News

  আইপিএল নিলামে অবিক্রিত মোস্তাফিজুর রহমান, ভিত্তিমূল্য ছিলো ২ কোটি রুপি
  ইসকন নেতা চিন্ময় দাসকে বিমান বন্দরে গ্রেপ্তার করেছে ডিবি
  কক্সবাজারের টেকনাফ সমুদ্র সৈকতে গোসলে নেমে নিখোঁজ দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ উদ্ধার
  সাবেক আইজিপি মামুনের ফের ৩ দিনের রিমান্ড

খুলনা-রাজশাহী স্টেডিয়ামে নজর দিয়ে আন্তর্জাতিক মানের বানাবে বিসিবি

ক্রীড়া প্রতিবেদক

সিলেট স্টেডিয়ামে চলছে বিপিএল। যেখানে স্বাগতিক দর্শকরা মুগ্ধ করেছে সবাইকে। প্রায় প্রতিটি ম্যাচেই স্টেডিয়ামে ভরা গ্যালারি। সিলেটের ম্যাচ হলে স্টেডিয়ামে তিল ধারণের জায়গা থাকে না। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে দর্শকদের ক্রিকেটের এতোটা উন্মাদনা দেখে বিসিবি খেলা সম্প্রসারণের কথা ভাবছে।

রাজশাহী ও খুলনা স্টেডিয়াম তৈরি। খুলনায় হয়েছে আন্তর্জাতিক টেস্ট ম্যাচও। রাজশাহীতে সেই অপেক্ষা ঘোচাতে পারে। বিসিবি এই দুটি ভেন্যুতে নজর দেওয়ার কথা বলেছে। আন্তর্জাতিক মানের সুযোগ সুবিধা নিশ্চিতের কথা বলেছেন বিসিবির সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। খুলনার শেখ আবু নাসের স্টেডিয়ামে তিন টেস্ট হয়েছে। ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি হয়েছে যথাক্রমে চারটি ও পাঁচটি। ২০১৬ সালের ৫ এপ্রিল ঝড়ে স্টেডিয়ামের কিছু অংশ ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর সেখানে আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট আয়োজন করা হয়নি। প্রায় সাত বছরেও সেই স্টেডিয়াম সংস্কার করা হয়নি।

রাজশাহীর শহীদ কামরুজ্জামান স্টেডিয়ামে নিয়মিত ঘরোয়া ক্রিকেটের খেলা হচ্ছে। ঢাকা ও চট্টগ্রামের বাইরে বিসিবি কেবল সিলেটেই উল্লেখযোগ্য কাজ করেছে। সামনে খুলনা ও রাজশাহীতে নজর দেওয়ার ইচ্ছার কথা বলেছেন বিসিবি সভাপতি, ‘এখন বিপিএল চলছে। ভবিষ্যতে আরও খেলা পাবে। এটা না পাওয়ার কারণ নেই। আমরা এখন স্টেডিয়ামগুলো আপগ্রেড করার চেষ্টা করছি। নতুন নতুন ভেন্যু… আরও কয়েকটি জায়গা আছে বাংলাদেশে, যে স্টেডিয়ামগুলো আমরা মনে করি যে স্ট্যান্ডার্ড একটু খারাপ হয়ে গেছে বা পুরনো হয়ে গেছে, ব্যবহার না করলেও কিন্তু নষ্ট হয়ে যায়, একটা স্টেডিয়াম যদি ফেলে রাখেন… এরকম কয়েকটা আমরা চিহ্নিত করেছি। সিলেটের এই স্টেডিয়াম এখন আমাদের পছন্দের একটা, চট্টগ্রামের স্টেডিয়াম অবশ্যই অত্যন্ত ভালো। খুলনা স্টেডিয়ামের দিকে এখন আমরা নজর দিচ্ছি। খুলনা, রাজশাহী, এই স্টেডিয়ামগুলোতে কী কী কাজ বাকি আছে, এগুলো যদি করি ফেলি, তাহলে সারাদেশেই আন্তর্জাতিক মানের স্টেডিয়াম হবে। আইসিসি অ্যাফিলিয়েশন আছে, কিন্তু এটা বড় কথা নয়। মান উন্নত করার জন্য দেখছিলাম।’

বিসিবির ইচ্ছা থাকলেও নানা সীমাবদ্ধতায় ভেন্যু বাড়ানোর কাজটা কঠিন বলে মন্তব্য করেছেন নাজমুল হাসান, ‘আমাদের সবসময় ইচ্ছা আরও বেশি জায়গায় দেওয়ার (বিপিএলের খেলা)। সমস্যাটা হয় কী, একটা জিনিস বুঝতে হবে, আমাদের আমাদের সূচি এত টাইট…এফটিপি তো আপনাদের কাছে আছেই। আপনারা দেখেন না, এখানে তো দুইটা চারটা দিন বের করার কোনো সুযোগ নেই। একটা ভেন্যু বাড়ানো মানেই আরও চারদিন নেই। দুদিন করে আসা যাওয়া চারদিন। আরও একটা বাড়ালে আটদিন লাগবে। সামনের বছর আমাদের পরের বিপিএল, এটার স্লটই আমরা এখন খুঁজে পাচ্ছি না, স্লট বের করাই অসম্ভব ব্যাপার হয়ে দাঁড়িয়েছে। একটা পেয়েছি কিন্তু মাঝে গ্যাপ দিতে হতে পারে, যদি নির্বাচন হয়। তখন আমরা নিরাপত্তা পাব কোথায়। সব তো নির্বাচনে থাকবে।’

সিলেটে মাঠ আছে দুটি। একটি মূল স্টেডিয়াম। তার পেছনেই গ্রাউন্ড ২। সিলেটে একটি একাডেমি করার প্রয়োজন অনুভব করছেন নাজমুল হাসান, ‘আমাদের এখানে একটা একাডেমি দরকার। নাদেল, এখানকার বোর্ড পরিচালক বলছিলেন জায়গাটা পছন্দ করার জন্য। আমরা তিনটা জায়গা দেখেছি। দুটি কাছ থেকে, একটি দূর থেকে। শেষ পর্যন্ত একটি জায়গা আমরা পছন্দ করেছি বিসিবির তরফ থেকে। এটা নিয়ে যা করণীয়, চেষ্টা করব।’




খুলনা গেজেটের app পেতে ক্লিক করুন

এই ওয়েবসাইটের কোনো লেখা, ছবি, অডিও, ভিডিও অনুমতি ছাড়া ব্যবহার বেআইনি।

© 2020 khulnagazette all rights reserved

Developed By: Khulna IT, 01711903692

Don`t copy text!