ফকিরহাটে কলেজ ছাত্র অনিক অধিকারী হত্যা মামলায় পুলিশ দু’জনকে গ্রেপ্তার করেছে। রোববার রাতে পুুলিশ তাদের গ্রেপ্তার করে। এর আগে নিহত কলেজ ছাত্রের পিতা গ্রেপ্তার হওয়া ওই দু’জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪ জনের নামে থানায় মামলা দায়ের করেন।
গ্রেপ্তার হওয়া দু’জন হল, উপজেলার চাঁন্দেরঢোল গ্রামের প্রফুল্ল দাশের ছেলে মৎস্যডিপো মালিক বিপুল দাশ ও বিঘাই গ্রামের বিঘাই গ্রামের রবিন সরকারের ছেলে মৎস্যডিপো কর্মকচারি বেব্রত সরকার।
মামলার তদন্ত কর্মকর্তা এসআই অহিদুর রহমান মামলার বরাত দিয়ে জানান, ২২জানুয়ারী সকালের দিকে অনিক অধিকারী কেজি চিংড়ি মাছ বিক্রি করে বিপুল দাসের মৎস্যডিপোতে। বিকেলে সেই মাছ বিক্রির টাকা আনতে গেলে টোকেন নিয়ে ওই ডিপোর মালিক ও কর্মচারির
সাথে বাকবিতণ্ডার সৃষ্টি হয়। মাছ ক্রয়-বিক্রয় ও টাকা লেন-দেনকে কেন্দ্র করে অনিককে শ্বাসরোধ করে হত্যা করতে পারে বলে পুলিশ প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে। মৎস্যডিপোর ঘটনার পর থেকে অনিক নিঁখোজ ছিল। মরদেহের গলায় দাগের চিহ্ন রয়েছে। অনিকের শরীরে রশি পাওয়া গেছে বলে তিনি আরও জানিয়েছেন।
ফকিরহাট মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মু. আলীমুজ্জামান বলেন, কলেজ ছাত্র অনিক অধিকারী পিতা রাতে মামলা করেছেন। এ মামলায় এজাহার নামীয় দুই আসামীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মামলাটি বর্তমােেনে তদন্তনাধীন রয়েছে।
অনিক অধিকারী ২২ জানুয়ারি (রোববার) নিখোঁজ হয়। তার সাতদিন পর ফকিরহাটের একটি ঘের হতে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। অনিক ফকিরহাট উপজেলার বেতাগা ইউনিয়নের কুমারখালী গ্রামের আকুল অধিকারীর ছেলে ও টাউন-নওয়াপাড়া শহীদ স্মৃতি ডিগ্রি কলেজের একাদশ শেণির ছাত্র ছিল সে।
খুলনা গেজেট/ এসজেড