খুলনায় মাছ-চাল-সবজি-তরকারি-ফলসহ অন্যান্য নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদির পাইকারী বাজার থাকলেও নেই পুষ্টিকর ও নিরাপদ আমিষ মুরগীর ডিম-মাংস-দুধের পাইকারী বাজার। এতে ডিম-মাংস-দুধের উৎপাদক খামারী তাদের উৎপাদিত পণ্যের ন্যায্য মূল্য থেকে বঞ্চিত এবং ভোক্তা সাধারণ কয়েক হাত ঘুরে বেশী মূল্যে ডিম-মাংস-দুধ প্রাপ্তিতে সকলেই আর্থিকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন।
বিষয়টি দীর্ঘদিন যাবৎ এ অঞ্চলের মন্ত্রী-মেয়র-এমপি-জনপ্রতিনিধি-সরকারি, বে-সরকারি কর্মকর্তাদের অবহিত ও করণীয় বিষয়াদিতে আবেদন-নিবেদন করলেও কার্যকর কোন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। শুধুই আশ্বাস ও ঘোষণায় কেটেছে দুই যুগের বেশী সময়। এভাবেই বক্তারা অভিযোগ করছেন বিপিআইএফ এর খুলনা বিভাগীয় শাখা ও খুলনা পোল্ট্রি ফিস ফিড শিল্প মালিক সমিতির বিশেষ সভায়।
তারা আরও বলেন, সর্বস্তরে সার্বিক উন্নয়ন দেখা গেলেও স্বল্প মূল্যে আমিষের যোগানদাতা সম্ভাবনাময় পোল্ট্রি ডেয়ারী শিল্পের জাতীয় ও স্থানীয় পর্যায়ে উন্নয়ন কার্যক্রম অনুপস্থিত। সভায় বর্তমান সরকারের সংসদ সদস্যগণ ও কেসিসির মেয়রকে পাইকারী বাজার স্থাপনের জন্য জরুরী ব্যবস্থা গ্রহনের আহবান এবং এ ব্যাপারে বিভিন্ন কর্মসূচী গৃহীত হয়।
কর্মসূচি অনুয়ায়ী ২৯ জানুয়ারী রবিবার রাতে সংগঠনের ডালমিল মোড়স্থ কার্যালয়ে সমিতির সভাপতি আলহাজ্ব মাওলানা ইব্রাহিম ফয়জুল্লাহের সভাপতিত্বে এবং কেন্দ্রীয় প্রচার-প্রকাশনা সম্পাদক, খুলনার মহাসচিব এস.এম সোহরাব হোসেনের পরিচালনায় সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় উপস্থিত ও বক্তৃতা করেন সংগঠনের সহ-সভাপতি সৈয়দ বেলাল হোসেন, প্রফুল্ল কুমার রায়, মোঃ জাফর, এইচ এম সিদ্দিকুর রহমান, তালুকদার মুজাহিদুল ইসলাম মুকুল, গোলাম সরোয়ার পিন্টু, আলমগীর খান, ইলিয়াস চৌধুরী, শেখ রেজানূল ইসলাম, মোঃ তরিকুল ইসলাম, কোষাধ্যক্ষ আলহাজ্ব মোঃ মামুনুর রহমান, যুগ্ম মহা-সচিব আলহাজ্ব মোঃ আরিফুর রহমান বাবু, এস.এম হাফিজুর রহমান লিপু, সাংগঠনিক সম্পাদক তালুকদার মোঃ হেলালুজ্জামান, মহিলা সম্পাদক এ্যাড. শাহরিয়া মের্শেদা আহমেদ শম্পা, প্রচার সম্পাদক শেখ আব্দুল হালিম, সঞ্চয় ও সমাজ কল্যাণ সম্পাদক মোঃ মোজাম্মেল হক, ক্রীড়া সম্পাদক হারুণ রশীদ শেখ, নির্বাহী সদস্য শাহ জাফর মাহমুদ মেহেতা, মোঃ সালাউদ্দিন, শ্যামল বিশ্বাস, মোঃ আব্দুল আহাদ, উপদেষ্টা আলহাজ্ব শেখ নূরুল ইসলাম, শেখ হেমায়েত উদ্দিন, মোল আল-মামুন, আফ্রিদুল ইসলাম বাবু, মোঃ আনোয়ার হোসেন ও নাজমুল তারেক তুষার প্রমূখ।