খুলনা জেলা যুবলীগের সভাপতি পদে চৌধুরী মো. রায়হান ফরিদ এবং সাধারণ সম্পাদক হিসেবে ইঞ্জি. মো. মাহফুজুর রহমান সোহাগকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে।
এর আগে খুলনা মহানগরের সভাপতি পদে সফিকুর রহমান পলাশ ও সাধারণ সম্পাদক পদে শেখ শাহজালাল হোসেন সুজনকে নির্বাচিত করা হয়।
মঙ্গলবার (২৪ জানুয়ারি) রাতে কেন্দ্রীয় যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও সাধারণ সম্পাদক মো. মাইনুল হোসেন খান নিখিলের স্বাক্ষরিত পৃথক বিবৃতিতে তাদের নাম ঘোষণা করা হয়।
আগামী ৪৫দিনের মধ্যে খুলনা মহানগরে ১৩১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি এবং জেলায় ১০১ সদস্য বিশিষ্ট পূর্ণাঙ্গ কমিটি গঠন করে কেন্দ্রের অনুমোদনের জন্য জমা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন কেন্দ্রীয় কমিটি।
দীর্ঘ ২০ বছর পর খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের ত্রি-বার্ষিক সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। নগরের শিববাড়ী মোড়ের ভেঙে ফেলা পাবলিক হল (সাবেক জিয়া হল) চত্বরে ওই সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়।
সম্মেলনের উদ্বোধন করেন যুবলীগের চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস (পরশ)। প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাগেরহাট-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ হেলাল উদ্দীন। প্রধান বক্তা যুবলীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক মাঈনুল হোসেন খান (নিখিল)। এরপর সন্ধ্যা ৬টার দিকে দ্বিতীয় অধিবেশন অনুষ্ঠিত হয় ইউনাইটেড ক্লাবে। সেখানে কাউন্সিলরদের মতামতের ভিত্তিতে নতুন নেতৃত্বের নাম ঘোষণা করা হয়।
এর আগে ২০০৩ সালের ৬ মে খুলনা মহানগর ও জেলা যুবলীগের সর্বশেষ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছিল। ওই সম্মেলনে মহানগরের সভাপতি করা হয় আনিসুর রহমানকে এবং সাধারণ সম্পাদক হন আলী আকবর।
অন্যদিকে জেলা যুবলীগের সভাপতি হন মো. কামরুজ্জামান জামাল আর সাধারণ সম্পাদক হন মো. আক্তারুজ্জামান।
কামরুজ্জামান বর্তমানে জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সম্পাদক পদে আছেন। আর আক্তারুজ্জামান আছেন সদস্য হিসেবে। তিনি এখন খুলনা-৬ আসনের (পাইকগাছা-কয়রা) সংসদ সদস্য। জেলা আওয়ামী লীগের আগের কমিটিতে তিনি সাংগঠনিক সম্পাদক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছিলেন। ওই সম্মেলনের পর ২০০৮ সালে ও ২০১৯ সালে মহানগর যুবলীগের আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা করা হলেও দীর্ঘ ২০ বছর ধরে জেলা যুবলীগের কোনো কমিটি গঠিত হয়নি।