মহানগর বিএনপির আহবায়ক শফিকুল আলম মনা বলেছেন, বিদ্যুতের দাম বাড়লে সকল নিত্যপণ্যের দাম বাড়ে, মূল্যস্ফীতি বেড়ে জনদূর্ভোগ সৃষ্টি হয়। নির্বাচনের বছরের শুরুতেই বিদ্যুতের দাম বাড়িয়ে সরকার প্রমাণ করেছে জনগণের কাছে তাদের কোন দায়বদ্ধতা নেই। সরকার নির্বাচন ছাড়াই পুনরায় ক্ষমতা দখলের ষড়যন্ত্র করছে অভিযোগ করে মনা বলেন, কোন চক্রান্ত ষড়যন্ত্রে কাজ হবেনা। অচিরেই জনবিচ্ছিন্ন সরকার বিদায় নেবে, আগামী নির্বাচন হবে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে।
সোমবার (১৬ জানুয়ারি) বিকেলে বিএনপির চেয়ারপারসন দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার মুক্তি, সরকারের পদত্যাগ ও নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে জাতীয় নির্বাচনসহ ১০ দফা দাবি এবং বিদ্যুতের মুল্যবৃদ্ধির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় কর্মসুচির অংশ হিসেবে খুলনা মহানগর বিএনপির উদ্যোগে বিক্ষোভ মিছিল পরবর্তী সমাবেশে তিনি এসব কথা বলেন।
নগরীর কে ডি ঘোষ রোডস্থ দলীয় কার্যালয়ের সামনে মহানগর বিএনপির উদ্যোগে কেন্দ্র ঘোষিত এ কর্মসূচি পালিত হয়। এর আগে মহানগরীর সকল থানা ও ওয়ার্ড থেকে বিএনপি নেতাকর্মীদের খন্ড খন্ড মিছিল ডিসি অফিস সংলগ্ন কেসিসি মার্কেট এলাকায় সমবেত হয়। এখান থেকে মিছিলটি কে ডি ঘোষ রোড দলীয় কার্যালয় চত্বরে আসে।
দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতির কারণে মানুষ দিশেহারা উল্লেখ করে মনা বলেন, বিদ্যুতের মূল্যবৃদ্ধির ফলে দ্রব্যমূল্য আরও বৃদ্ধি পাবে। জনগণের দুর্ভোগের কথা চিন্তা করে বিদ্যুতের দাম সহনীয় পর্যায়ে রাখার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, বিএনপি সরকারের আমলে প্রিপেইড মিটারে ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ১১০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হতো। এখন ১০০ টাকা রিচার্জ করলে ৭০ টাকার বিদ্যুৎ দেওয়া হয়। প্রিপেইড মিটার ও কুইক রেন্টালের নামে জনগণের পকেট থেকে টাকা নিয়ে ভোগান্তির সৃষ্টি করা হয়েছে। সরকার দুর্নীতি ও লুটপাট বন্ধ না করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধিসহ জনজীবনকে বিপর্যস্ত করে তুলছে। এ থেকে মুক্তি পেতে দলমত নির্বিশেষে ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনের মাধ্যমে এই সরকারের পতন ঘটাতে হবে।
সমাবেশে বক্তব্য রাখেন ও উপস্থিত ছিলেন মহানগর বিএনপির সদস্য সচিব শফিকুল আলম তুহিন, সিনিয়র যুগ্ম আহবায়ক মোঃ তারিকুল ইসলাম জহির, যুগ্ম আহবায়ক স ম আব্দুর রহমান, সৈয়দা রেহানা ঈসা, শের আলম সান্টু, বদরুল আনাম খান, মাহবুব হাসান পিয়ারু, চৌধুরী শফিকুল ইসলাম হোসেন, একরামুল হক হেলাল, মাসুদ পারভেজ বাবু, শেখ সাদী, চৌধুরী হাসানুর রশিদ মিরাজ প্রমুখ।
খুলনা গেজেট /এমএম