শীতের মধ্যেও খুলনায় দেখা দিয়েছে লোডশেডিং। দিনের পাশাপাশি রাতেও বিদ্যুৎ থাকছে না। চাহিদার তুলনায় সরবরাহ কম থাকায় বিদ্যুতের এই ঘাটতি দেখা দিয়েছে বলে জানিয়েছেন বিদ্যুৎ বিভাগ। তবে শীতে চাহিদা কম থাকলেও লোডশেডিংয়ে ভোগান্তিতে পড়েছেন গ্রাহকরা।
বছরের শুরু থেকেই খুলনায় ঘন কুয়াশা আর শৈত্য প্রবাহ বিরাজ করছে। সোমবার (৯ জানুয়ারি) থেকে তাপমাত্রা কিছু বেড়েছে।
ওজোপাডিকোর সূত্রে জানা যায়, গত রোববার (৮ জানুয়ারি) সন্ধ্যার পর থেকে বিদ্যুতের ঘাটতি দেখা দেয়। বিদ্যুতের ঘাটতির কারণে ওই রাত থেকে লোডশেডিংয়ের কবলে পড়ে খুলনাসহ ২১ জেলার বিদ্যুৎ গ্রাহকরা। ওজোপাডিকোর আওতায় থাকা ২১ জেলায় মঙ্গলবার (১০ জানুয়ারি) সকাল ৯টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৩৯৮ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৩৪০ মেগাওয়াট। এদিন বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৫৮ মেগাওয়াট।
এর আগে সোমবার (৯ জানুয়ারি) দুপুর ২টায় বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ৪৩৬ মেগাওয়াট। সেখানে সরবরাহ ছিল ৩৪৮ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ৮৮ মেগাওয়াট। একইদিন রাত ৮টায় ৪০৫ মেগাওয়াট বিদ্যুতের চাহিদার বিপরীতে সরবরাহ ছিল ৩৮৮ মেগাওয়াট। এসময় বিদ্যুতের ঘাটতি ছিল ১৭ মেগাওয়াট।
একইসময়ে পল্লী বিদ্যুতের চাহিদা ছিল ১ হাজার ৫১ মেগাওয়াট। সরবরাহ ছিল ৯৭৭ মেগাওয়াট। চাহিদার বিপরীতে ৭৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ।
ওজোপাডিকোর প্রধান প্রকৌশলী মোঃ মোস্তাফিজুর রহমান বলেন, খুলনায় কিছুটা লোডশেডিং রয়েছে। পায়রা থেকে বিদ্যুৎ আসছে না। তিনি বলেন, আমাদের নির্ধারিত মেগাওয়াটে বিদ্যুৎ কন্ট্রোল করতে বলে, সেই অনুযায়ী আমরা বিদ্যুৎ সরবরাহ দিয়ে থাকি। সোমবার এবং মঙ্গলবার কিছুটা লোডশেডিং রয়েছে। তবে মাত্রাতিরিক্ত নয়।
খুলনার মুজগুন্নি আবাসিক এলাকার বাসিন্দা গাজী আলাউদ্দিন আহমদ বলেন, শীতেও লোডশেডিং হচ্ছে। বলা হয়েছিল শীতে লোডশেডিং থাকবে না, কিন্তু আজ সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ৫/৭ বার বিদ্যুৎ গেছে। এ কারণে স্বাভাবিক কাজকর্ম মারাত্মকভাবে ব্যাহত হচ্ছে।
একই কথা জানিয়েছেন বসুপাড়া এলাকার ইয়াসিন হাওলাদার। তিনি বলেন, আজ সকালে কয়েকবার বিদ্যুৎ চলে যায়।
ডুমুরিয়া উপজেলার রংপুর ইউনিয়নের বাসিন্দা সবুজ মন্ডল বলেন, সকালে বাড়ি থাকতে বিদ্যুৎ চলে গিয়েছিল। কিছুসময় পর আবার এসেছে। রংপুর এলাকায় বিকেল ৩টার দিকেও একবার গিয়েছে।
খুলনা গেজেট/এইচ