ঝিনাইদহের হরিণাকুন্ডুতে যৌতুকের দাবিতে স্ত্রীকে নির্যাতনের ঘটনায় সাজেদুর রহমান রনি (৩৮) নামে এক বিএনপি নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। শনিবার দুপুরে তাকে উপজেলার হরিশপুর গ্রাম থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সে ওই গ্রামের শহিদুল ইসলাম বকুল হোসেনের ছেলে এবং ২নং জোড়াদহ ইউনিয়ন বিএনপির সভাপতি। জানা গেছে, নিজের প্রথম স্ত্রী ও সন্তানের কথা গোপন করে প্রায় দুই বছর আগে শৈলকুপা উপজেলার এক নারীকে বিয়ে করেন রনি। তাদের এক বছর বয়সের একটি কন্যা সন্তান রয়েছে।
রনির স্ত্রী ভুক্তভোগী ওই নারী জানান, বিয়ের পর তিনি জানতে পারেন রনির আরও এক স্ত্রী ও সন্তান রয়েছে। বিভিন্ন সময়ে যৌতুকের দাবিতে তাঁকে শারীরিক নির্যাতন করত সে। এ নিয়ে দুই পরিবারের মাঝে অনেক আলোচনার পরও সেটির সমাধান হয়নি। তিনি আরও দাবি করেন, সংসার ও সন্তানের কথা ভেবে বিভিন্ন সময়ে বাবার বাড়ি থেকে প্রায় ৫ লাখ টাকা এনে দিয়েছেন স্বামীকে। এরপরও প্রায়ই টাকার দাবিতে আমাকে মারধর করত। সে মাদকাসক্ত। নেশা করে সে প্রায়ই আমার শিশু সন্তানকেও মারধর করত।
প্রতিদিন রাতে নেশা করে বাড়িতে ফিরে আমার ওপর শারীরিক নির্যাতন করা হতো। গত ২৭ ডিসেম্বর সন্ধ্যা সাতটার দিকে সে ফের আমার কাছে ২ লাখ টাকা দাবি করে। আমি দিতে অস্বীকার করলে রনি, তার ভাই রাব্বি এবং মা সালেহা খাতুন আমাকে মারধর করে। একপর্যায়ে তারা আমার মাথার চুল কেটে দেয়। পরে আমার চিৎকারে প্রতিবেশিরা এসে আমকে উদ্ধার করে। এ ঘটনায় আমি ওইদিন থানায় যৌতুক, নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে তাদের বিরুদ্ধে মামলা করি।
এ বিষয়ে জানতে বিএনপি নেতা রনির বাড়িতে গিয়ে কাউকে পাওয়া যাইনি। পরে তার ভাই অভিযুক্ত রাব্বির মোবাইলে ফোনে কল দেওয়া হলে সেটি বন্ধ পাওয়া যায়।
ওসি সাইফুল ইসলাম বলেন, গত ২৮ ডিসেম্বর এ ঘটনায় রনিসহ আরও দুইজনের বিরুদ্ধে থানায় মামলা দেন তার স্ত্রী। শনিবার দুপুরে রনিকে গ্রেপ্তার করে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামিদেরও আইনের আওতায় আনা হবে।
খুলনা গেজেট/ বিএমএস