দস্যুমুক্ত সুন্দরবন টেকসইকল্পে ও মৎস্যজীবিদের নিরাপত্তা নিশ্চিতকরনের লক্ষ্যে বিশেষ অভিযান শুরু করেছে র্যাব-৬। শনিবার (২৪ডিসেম্বর) দুপুর থেকে লং রেঞ্জ পেট্রোলের মাধ্যমে একটি বিশেষ আভিযানিক দল ‘এলিট টাইগার্স’ ট্রলারযোগে সুন্দরবনে প্রবেশ করেছে।
র্যাব-৬ এর কোম্পানি কমান্ডার পুলিশ সুপার মোঃ বদরুদ্দোজা জানান, এ অভিযানের মাধ্যমে সাম্প্রতিক নব্য বনদস্যুদের চিহ্নিত করে তাদের আইনের আওতায় আনা, দস্যূমুক্ত সুন্দরবনের স্থায়িত্ব রক্ষার জন্য নৌ-পুলিশ, বনবিভাগ এবং কোস্ট গার্ডের সাথে সমন্বয় সাধন, মাঠ পর্যায়ে সুন্দরবনে অভিযান পরিচালনার স্থান রেকি করা, আত্মসমর্পনকৃত বনদ্যুদের সাথে সমন্বয় করা, সুন্দরবনে র্যাবের উপস্থিতি ও কার্যক্রম সম্পর্কে জানান দেয়া।
জরুরি প্রয়োজনে বনদস্যুদের বিরুদ্ধে ঝটিকা অভিযান পরিচালানা করা, মৎস্যজীবিদের নিরাপত্তা বিষয়ক তথ্য সংগ্রহ ও নিরাপত্তার আশ্বস্থতা প্রদান এবং দরিদ্র মৎস্যজীবিদের শীতবস্ত্র বিতরণসহ মানবিক সহায়তা প্রদান করা হবে।
র্যাবের আভিযানিক দলটি সুন্দরবনের শরণখোলা, জয়মনি, বড়ইতলা, আন্ধারমনিক, মৃগামারি এলাকাসহ বনের শ্যালা নদীর বিভিন্ন শাখায় অভিযান চালাবে। এছাড়া অভিযানের জন্য র্যাবের আরেকটি দলকে একটি স্পীড বোট ও বেঙ্গল টাইগার্স নামে অপর একটি ট্রলারসহ পূর্ণপ্রস্তুতিসহকারে স্ট্যান্ডবাই রাখা হয়েছে।
তিনদিনের এ বিশেষ অভিযান প্রয়োজনে বর্ধিত করা হবে বলে র্যাবের ওই কর্মকর্তা জানান। প্রসঙ্গত গত ১৫ ডিসেম্বর রাতে নয়ন বাহীনি নামের একটি নব্য বনদস্যুদল সুন্দরবনের চাঁদপাই রেঞ্জের বেড়ীর খাল ও হরমাল খাল এলাকা থেকে ১৫ জেলেকে মুক্তিপনের দাবীতে অপহরন করে। অপহরনের ৬ দিন পর মুক্তিপন দিয়েদস্যুদের কবল থেকে অপহৃত জেলেরা ছাড়া পায়। এ বিষয় নিয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে খবর প্রকাশিত হলে আইনশৃঙ্খলা বাহীনি তৎপর হয়।