নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে যুবলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষ হয়েছে। শুক্রবার রাত ৯টার দিকে শুরু হওয়া এ সংঘর্ষ চলে ঘণ্টাব্যাপী। এতে আহত হয়েছেন অন্তত ১০ জন। তাদের কয়েকজনকে রক্তাক্ত অবস্থায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
শুক্রবার (২৩ ডিসেম্বর) রাত ৯টার দিকে রূপগঞ্জ উপজেলার কাঞ্চন পৌরসভার কেন্দুয়া হাট সংলগ্ন এলাকায় এ সংঘর্ষ হয়। এ ঘটনায় এশিয়ান হাইওয়ে সড়কে প্রায় এক ঘণ্টা ধরে যানজট তৈরি হয়।
সংঘর্ষের ঘটনা নিয়ে দুরকম বক্তব্য পাওয়া যাচ্ছে। কেউ বলছেন দুই পক্ষই মারামারিতে জড়িয়েছে, আবার কেউ বলছেন এক পক্ষ আরেক পক্ষের ওপর হামলা করেছে।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক স্থানীয় এক যুবলীগ কর্মী বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে কাঞ্চন পৌর যুবলীগের নেতা সফিকুল ইসলাম সফিক ও তারিকুল ইসলাম মোঘলের সঙ্গে কাঞ্চন পৌর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক গোলাম রসুল কলি ও তার লোকজনের বিরোধ চলে আসছিল। শুক্রবার রাতে কেন্দুয়া হাটের কাছে হাসমত আলী নামে একজনের বাড়িতে পিঠার দাওয়াত খেতে যান গোলাম রসুল কলি ও তার অনুসারীরা। পথে তাদের ওপর রামদা, চাপাতি, হকিস্টিকসহ অস্ত্র নিয়ে হামলা করেন সফিকুল ইসলাম ও তার অনুসারীরা। হামলায় অন্তত ৮০ জন অংশ নেন।
সংঘর্ষে আহত হওয়া কয়েকজনের নাম জানা গেছে। তারা হলেন- মধ্য চরপাড়া এলাকার যুবলীগ নেতা আফজাল হোসেন, ফজলুল হক, মহিলা লীগ নেত্রী সামসুন্নাহার বেগমের ছেলে বাছির উদ্দিন, মোমেন ও আলী বান্দা। তাদের ঢাকা মেডিকেলে পাঠানো হয়েছে। এদের মধ্যে আফজাল, বাছির উদ্দিন ও ফজলুল হকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে।