বাংলাদেশ শিল্প কারিগরি সহায়তা কেন্দ্র (বিটাক) খুলনার আঞ্চলিক কেন্দ্রে নির্মাণ হচ্ছে ১০তলা বিশিষ্ট গার্লস হোষ্টেল। প্রায় ২০ কোটি টাকা ব্যয়ে হোষ্টেলের নির্মাণ কাজ শুরু হয়েছে। দুটি প্রতিষ্ঠান যৌথভাবে নির্মাণ কাজ শুরু করেছেন। বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। হোষ্টেলটি নির্মাণ হলে এখানে ২৮৪জন নারী একত্রে থাকার ব্যবস্থা হবে।
দেশের শিল্পায়নে বেসরকারি খাত হচ্ছে মূল চালিকা শক্তি। এক্ষেত্রে বিটাকের ভূমিকা অনেক। অশিক্ষিত, স্বল্পশিক্ষিত এবং শিক্ষিত সব ধরনের নারী-পুরুষ বিটাক থেকে প্রশিক্ষণ নিয়ে নানা কর্মসংস্থানে যোগ দিচ্ছেন। খুলনার বিটাকে পুরুষদের জন্য ছাত্রাবাস থাকলেও ছিল না কোন গার্লস হোষ্টেল। সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগে দেশের ৪টি বিটাকে গার্লস হোষ্টেল নির্মাণের উদ্যোগ নেওয়া হয়।
খুলনার বিটাকে ১০তলা বিশিষ্ট গালর্স হোষ্টেল নির্মাণের তত্ত্বাবধায়নের দায়িত্বে রয়েছেন গণপূর্ত বিভাগ। হোষ্টেলের নির্মাণ ব্যয় ধরা হয়েছে প্রায় ২০ কোটি টাকা এবং ২০২২ সালের জুন মাসের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ করার জন্য ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠানকে নির্দেশ দিয়েছে গণপূর্ত বিভাগ।
গণপূর্ত বিভাগ-২ খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী মো: নাসির উদ্দিন খান জানান, প্রকল্পটি সম্প্রতি শুরু করা হয়েছে। যৌথভাবে দুটি ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান ১০তলা বিশিষ্ট হোষ্টেল নির্মাণের কাজ করবেন। বিটাকে কোন গার্লস হোষ্টেল ছিল না। এটা বাস্তবায়ন হওয়ার পর নারীদের প্রশিক্ষণ কার্যক্রমে আরো সুবিধা হবে।
বিটাক খুলনার নির্বাহী প্রকৌশলী এম মোর্শেদ আলম জানান, দীর্ঘদিনের প্রত্যাশা ছিল গার্লস হোষ্টেলের। সম্প্রতি সরকারের উদ্যোগে এটি বাস্তবায়ন হতে যাচ্ছে। বর্তমানে পাইলিংয়ের কাজ চলছে। খুলনাবাসীর জন্য এটা খুবই ভাল সংবাদ। গার্লস হোষ্টেল বাস্তবায়নের পর প্রশিক্ষণে অগ্রগতি বাড়বে বলে তিনি আশাবাদী।
বিটাক খুলনা আঞ্চলিক কেন্দ্রটি নগরীর খানজাহান আলী থানা এলাকায় ৪ একর জমির ওপর অবস্থিত। এ আঞ্চলিক কেন্দ্রটি একটি প্রকল্পের আওতায় ১৯৮৬ সনে প্রতিষ্ঠিত হয়। একটি দ্বিতল প্রশাসনিক ভবন, প্রশিক্ষণ ভবন, ছাত্রাবাস, মেশিন শপ, প্যাটার্ন শপ, হিট ট্রিটমেন্ট শপ, ফাউন্ড্রি শপ, স্টোর বিল্ডিং এবং নির্মাণাধীন একটি গার্লস হোস্টেল নিয়ে কেন্দ্রটি গঠিত। প্রতিষ্ঠার পর থেকেই কেন্দ্রটি এই অঞ্চলে হালকা প্রকৌশল খাতে পণ্য উৎপাদন, কারিগরি সমস্যার সমাধান এবং মানব সম্পদ উন্নয়নে গুরুত্বপূর্ণ ভুমিকা রেখে চলেছে।
খুলনা গেজেট/নাফি