বিশ্বকাপ ফাইনালে ফ্রান্সের বিপক্ষে জয়ের দ্বাপ্রান্তে এসেও গোল সমতায় হাতছাড়া হয়ে যায় ম্যাচ। শ্বাসরুদ্ধকর অবস্থা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে। সেই টাইব্রেকারে রোমাঞ্জকর এক জয় পেয়েছে মেসির আর্জেন্টিনা। বিশ্বচ্যাম্পিয়ন হয় আলবিসেলেস্তেরা। আর এতেই বাঁধভাঙার উল্লাসে ফেটে পড়ে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা। শুধু কাতারের লুসাইল আইকনিক স্টেডিয়ামের দর্শকই নয়, আর্জেন্টিনার জয়োল্লাস প্রকম্পিত হয়ে ওঠে রূপসা পাড়ের খুলনা।
রোববার (১৮ডিসেম্বর) রাতে আতশবাজিতে রঙিন হয়ে ওঠে চারদিক। আর্জেন্টিনা সমর্থকরা কেউ বিশাল পতাকা নিয়ে ঢোল-বাদ্য যন্ত্র বাজিয়ে আনন্দ শোভাযাত্রা করেন। ভুভুজেলা নিয়ে আনন্দমিছিলে অংশ নেন নানা বয়সের মানুষ। শহর থেকে প্রত্যন্ত গ্রাম পর্যন্ত বিভিন্ন স্থানে বের হয় মোটর শোভাযাত্রা। খুলনার ময়লাপোতা মোড়, শহীদ হাদিস পার্ক, জাতিসংঘ পার্ক, শিববাড়ি মোড়, আলমনগর মোড়, খালিশপুর, দৌলতপুরসহ নগরীর বিভিন্ন স্থানে আর্জেন্টিনার সমর্থকরা মিছিল বের করে।
বসুপাড়া এলাকার বাসিন্দা আর্জেন্টিনার সমর্থক ইয়াসিন হাওলাদার বলেন, খেলার শুরুটা স্বস্তিদায়ক হলেও শেষমুহুর্তে বুক কেপে ওঠে। মুহুর্তের মধ্যে ম্যাচ সমতায় চলে যায়। পরে অতিরিক্ত সময়ে মেসি গোল দিয়ে এগিয়ে গেলেও ফের সমতায় ফেরে ফ্রান্স। কেমন যেন নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে আসছিল। অবশেষে টাইব্রেকারে আমরা জয় পেয়েছি। মেসির হাতে ট্রফি উঠেছে। কি যে আনন্দ লাগছে বলে বোঝানো সম্ভব নয়।
নগরীর জিন্নাপাড়া এলাকার বাসিন্দা জাকারিয়া হোসেন তুষার বলেন, আর্জেন্টিনার জয়ের সাথে সাথে মেতে ওঠে গোটা এলাকা। ম্যারাডোনার পর মেসির হাত ধরে আর্জেন্টিনার বিশ্বকাপ জয় করলো। এই জয়ের স্বপ্ন পূরণ করল মেসি। খুবই ভালো লাগছে।
নগরীর খালিশপুর এলাকার মাহিম ইসলাম লিখন বলেন, বড়পর্দায় খেলা দেখে খুব ভালো লেগেছে। জয়ে মুহুর্তটা উপভোগ করেছি। আনন্দের কোন সীমা নেই। জয়ে সাথে সাথে উল্লাস করেছি আমরা। মনে হচ্ছে স্বপ্নময় রাত কাটছে।
নয়াবাটি এলাকার বাসিন্দা মোহাম্মদ ফাহিম মুনতাসির সাফিন বলেন, শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি ছিল উপভোগ্য। আর্জেন্টিনা আর ফ্রান্সের মধ্যকার ফাইনাল খেলাটি স্মরণীয় হয়ে থাকবে। দুর্দান্ত খেলেছে মেসি। এমবাপ্পেও দারুণ খেলেছে। সবমিলিয়ে সত্যিকারের এক ফাইনাল ম্যাচ উপভোগ করেছি।
খুলনা গেজেট/এসজেড