গ্রামের প্রতিটি বাড়ি আঙিনায় পলিথিনের স্তুপ। নোংরা আর আবর্জনায় ভরা। এ আবর্জনা ছড়িয়ে পড়েছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলের জমিতে। খালে-বিলে পড়ে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণ করছে। এ দুষণের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেনা ফসল এবং ফসলি জমি। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলেছে বিবেককে। বিবেক মজুমদার (৩৮) পেশায় একজন সবজি ও মৎস্য চাষী। বাস করেন বাগেরহাটের চিতলমারী উপজেলার চরবানিয়ারী ইউনিয়নের খড়মখালী গ্রামে।
বিবেক মজুমদার বলেন, ‘প্রতিটি বাড়ির আঙিনায় দেখি অব্যবহৃত পলিথিন মাটিতে পড়ে ময়লা-আবর্জনায় স্তুপ হয়ে পড়ে আছে। সেখান থেকে ছড়িয়ে পড়ছে রাস্তা-ঘাট ও ফসলের জমিতে। যা খালে-বিলে ও ফসলের জমিতে পড়ে মারাত্মক ভাবে পরিবেশ দূষণ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে ফসল।
ঘটনাটি আমাকে খুব ব্যথিত করে। এ বিষয়টি নিয়ে আমি আমাদের গ্রামের দেবাশিষ রানা, প্রভাষ মন্ডল ও প্রসাদ মজুমদারের সাথে আলাপ করি। দীর্ঘ আলাচনা শেষে আমরা সিদ্ধান্ত গ্রহন করি যে গ্রামের প্রতিটি ঘরে, রাস্তার মোড়ে, দোকানের সামনে ও গুরুত্বপূর্ণ স্থানে একটি করে প্লাস্টিকের বস্তা ঝুলিয়ে দিব। সেই বস্তায় মানুষেরা ব্যবহার শেষে তাঁদের পলিথিন গুলো ফেলেবে এবং প্রতি সপ্তাহে সেগুলো আমরা একত্রিত করে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে পুঁড়িয়ে ফেলব।
কথানুযায়ী আমরা পৌঁছে দিয়েছি প্লাস্টিকের বস্তা। গ্রামের মানুষ সচেতন হয়েছেন। তাঁরা সাচ্ছন্দে বিভিন্ন ধরনের পলিথিনের প্যাকেট ব্যবহার শেষে বস্তায় ভরে রাখছে। এখন আগের চেয়ে অনেকটাই পলিথিন মুক্ত হয়েছে আমাদের গ্রাম। আশাকরি আমাদের এ কার্যক্রম সফল হলে আগামীতে আমার উপজেলা ব্যাপী এ উদ্যোগ গ্রহণ করবো। ভবিষ্যতে আমাদের উপজেলা পলিথিন ও দূষণমুক্ত হবে।’
খড়মখালী গ্রামের বৃদ্ধা কল্যানী বাড়ই বলেন, ‘চার যুবকের এ উদ্যোগ প্রসংশনীয়। গ্রামের গৃহবধুরাও পলিথিনের কুফল সম্পর্কে জেনেছে।বিষয়টি সম্পর্কে তাঁরাও সচেতন হচ্ছে। এ ভাবে চললে একদিন অবশ্যই চার যুবকের চেষ্টা সার্থক হবে।’
খুলনা গেজেট/ বিএমএস