খুমেক হাসপাতালে রক্ত দিতে গেলে খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের (খুবি) শিক্ষার্থীদের মারধর করেন স্থানীয় স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা আল আমিন মৃধা ও তার সহযোগীরা। শুক্রবার গভীর রাতের এঘটনার প্রতিবাদে আজ রবিবার (২৭ সেপ্টেম্বর) দুপুরে মানববন্ধন করেছে খুবি শিক্ষার্থীরা। মানববন্ধন চলাকালে বক্তারা অবিলম্বে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থী নিপীড়কদের গ্রেপ্তারের দাবি জানান। অন্যত্থায় কঠোর কর্মসুচির ঘোষণা হুশিয়ারি উচ্চারণ করেন তারা।
এসময়ে বক্তৃতা করেন, খুবি শিক্ষার্থী ওয়ালী, অনির্বাণ, সদানন্দ, আশিক ও মামুন প্রমুখ।
বক্তারা বলেন, একজন মুমূর্ষু রোগীকে রক্ত দেয়ার উদ্দেশ্যে দু’জন ডোনারসহ ছয়জন শিক্ষার্থী শুক্রবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে খুমেক হাসপাতালে যান। রক্তের ব্যাগ কেনার জন্য হাসপাতালের বিপরীতে ফার্মেসিতে দাঁড়িয়ে ছিলেন তারা। এসময় একটি প্রাইভেটকার দ্রুত ও বেপরোয়াভাবে শিক্ষার্থীদের পা ঘেঁষে চলে যায়। অল্পের জন্য রক্ষা পেয়ে চালককে প্রতিবাদ জানাতে গেলে গাড়ির ভেতর থেকে দু’জন বেরিয়ে এসে শিক্ষার্থীদের অকথ্য ভাষায় গালাগাল করে এবং জামার কলার টেনে ধরে। শিক্ষার্থীদের পরিচয় জানতে পেরে আরও চড়াও হয়ে পার্শ্ববর্তী গলিতে নিয়ে সংঘবদ্ধভাবে শারীরিক নির্যাতন করে ও প্রাণনাশের হুমকি দেয়।
একপর্যায়ে শিক্ষার্থীরা খুমেকের ইন্টার্ন হোস্টেলের ভেতরে আত্মগোপন করেন। এরপর নিরাপদে ক্যাম্পাসে ফেরার জন্য তারা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করেন। বাংলা ডিসিপ্লিনের সহকারী অধ্যাপক আবুল ফজল অ্যাম্বুলেন্স পাঠালে তারা ভোর ৫টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে ফিরে আসেন। শিক্ষার্থীদের পক্ষে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অবিলম্বে দায়ী ব্যক্তির বিরুদ্ধে আইনী পদক্ষেপ গ্রহণের দাবি জানিয়েছেন বিক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাবেক সদস্য আল আমিন মৃধা অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। তিনি বলেন, ‘শিক্ষার্থীরাই প্রথমে গালাগাল করে। তবে আমি তাদের মারধর করিনি। অন্যরা করতে পারে।
খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক পরিচালক প্রফেসর মোঃ শরীফ হাসান লিমন বলেন, ঘটনাটি জানতে পারার সাথে সাথেই সোনাডাঙ্গা থানার সহকারী কমিশনারকে ফোন করি । তিনি অভিযোগটিকে জিডি হিসেবে গ্রহণ করেন এবং দ্রুতই তদন্ত করে উপযুক্ত ব্যবস্থা গ্রহণের আশ্বাস দিয়েছেন।
খুলনা গেজেট/এআইএন