খুলনার ডুমুরিয়া উপজেলার খর্ণিয়ায় এক প্রভাবশালী কর্তৃক সরকারি খাল ভরাট করে বালু ব্যবসা করার অভিযোগ পাওয়া গেছে। এতে বর্ষা মৌসুমে ফসলি জমি, কবর স্থান ও বসতবাড়ি জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন এলাকাবাসী। খুলনা সাতক্ষীরা মহাসড়কের খর্ণিয়া ব্র্যাক শাখা অফিসের সামনে এ ঘটনা ঘটে। প্রতিকার চেয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার নিকট কৃষকদের পক্ষে লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন জাতীয় পুরস্কার প্রাপ্ত কৃষক আবু হানিফ মোড়ল।
সরেজমিনে গিয়ে ও একাধিক কৃষকের সাথে কথা বলে জানা যায়, উপজেলার কৃষি উৎপাদনে খ্যাত খর্ণিয়া এলাকা। এখানে বছরের বারো মাসই ক্ষেতে কোন না কোন সবজি ফসল উৎপাদন করে আসছে স্থানীয় কৃষকরা। বর্ষা মৌসুমে ওই এলাকার পানি সড়কের পাশ দিয়ে বয়ে যাওয়া একমাত্র খাল দিয়ে ডোংরা বিলের বড় খাল হয়ে খর্ণিয়া স্লুইস গেট দিয়ে নিষ্কাশন হয়ে আসছে। স্থানীয় আয়নাল হকের ছেলে রেজোয়ান মোড়ল ওই খাল ভরাট করে সেখানে বালু ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে দেদারছে। ফলে স্থায়ী জলাবদ্ধতার আশংকা করছেন তারা। জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত কৃষক আবু হানিফ বলেন, গত বছরও একই কায়দায় ওই রেজোয়ান মোড়ল সরকারি খাল ভরাট করে এ এলাকা কৃত্রিম জলাবদ্ধতা সৃষ্টি করেছিল। প্রশাসনের হস্তক্ষেপে সেটা অপসারণ করা হয় ঠিকই কিন্তু সেটা ছিল দায়সারাভাবে। সম্প্রতি সে খালটি আবারও ভরাট করে ব্যবসা চালাচ্ছে। এছাড়া মোসলেম মোড়ল নামে অপর ব্যক্তি তার জমি ভরাট করার কথা বলে আংশিক খালও ভরাট করে নিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
স্থানীয় জাহাঙ্গীর মোড়ল, আশরাফুল ইসলাম, শহিদুল ইসলামসহ একাধিক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, পানি নিষ্কাশনের এ পথটি এভাবে বন্ধ করে দিলে বর্ষা মৌসুমে জলাবদ্ধ হয়ে আমাদের সবজি ক্ষেত, বসতবাড়ি ও কবর স্থান তলিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হবে।
এ ব্যাপারে রেজোয়ান মোড়ল ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, গত ৩ বছর ধরে এ ব্যবসা করে আসছি কোন সমস্যা হয়নি। তাছাড়া পানি নিষ্কাশনের জন্য মাটির নিচে পাইপ স্থাপন করে দিয়েছি।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) শরীফ আসিফ রহমান বলেন, অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।