সরকারি করোনেশন মাধ্যমিক বালিকা বিদ্যালয়ে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তিতে বড় ধরনের প্রতারণার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক অভিভাবকের বিরুদ্ধে। লটারিতে ভর্তি নিশ্চিত করতে ভুয়া জন্ম নিবন্ধন তৈরি করে ৯টি আবেদন করেন ওই অভিভাবক। ৯টি আবেদনই উত্তীর্ণ হয় ওই শিক্ষার্থী। এতে প্রতারণার বিষয়টি প্রকাশ হয়ে পড়ে। সোমবার ফলাফল ঘোষণার পরেই তা অভিভাবকদের মাঝে ছড়িয়ে পড়ে। যা নিয়ে এখন তোলপাড় চলছে অভিভাবকদের মাঝে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, সোমবার বিকাল ৫টায় সারাদেশে একযোগে তৃতীয় শ্রেণির ভর্তি পরীক্ষার ফলাফল প্রকাশ করা হয়। সরকারি করোনেশন স্কুলের ফলাফলে দেখা যায়, উত্তীর্ণ তালিকায় এক ছাত্রীর ছবি প্রাত শাখার ৮ জায়গায় এবং দিবা শাখার এক জায়গায় মোট ৯ জায়গায় রয়েছে। ছাত্রীর নাম এক জায়গায় অনিন্দিতা সরদার আশি, অন্য স্থানে অংকিতা সরদার আবার কোথাও অংকিতা সরদার আশি দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটিতে বাবার নাম অনিরুদ্ধ সরদার ও মায়ের নাম নিপা রায় দেওয়া হয়েছে। তবে প্রতিটি জন্ম নিবন্ধন নম্বর ভিন্ন ভিন্ন। দুটি মোবাইল নম্বর ব্যবহার করে আবেদনটি করা হয়। অবশ্য গত রাত থেকে নম্বর দুটি বন্ধ।
এ ব্যাপারে ভর্তি কমিটির সদস্য সচিব ও খুলনা জিলা স্কুলের প্রধান শিক্ষক ফারহানা নাজ সাংবাদিকদের বলেন, বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হবে।
এদিকে এক ছাত্রীর ৯ বার চান্স পাওয়ার সংবাদ ছড়িয়ে পড়লে ক্ষোভ প্রকাশ করেন অন্য অভিভাবকরা। তারা বলেন, সরকারি স্কুলে ভর্তি করাতে ওই অভিভাবক প্রতারণার আশ্রয় নিয়েছেন। ভুয়া নিবন্ধন দিয়ে আবেদনের সঙ্গে সবাইকে বিচারের আওতায় আনা উচিত।