ম্যাচের ৮৪ মিনিটের সময় ইংল্যান্ড অধিনায়ক যে সুযোগ পেয়েছিলেন দলকে ম্যাচে রাখতে সেটির সদ্ব্যবহার করতে পারেননি তিনি। তাই তো কান্নাভেজা চোখে মাঠ ছাড়তে হয়েছে ইংল্যান্ডকে। না হলে ইনজুরি টাইমেও গড়াতে পারত ম্যাচ। শেষ পর্যন্ত হয়ত টাইব্রেকারেও যেতে পারত। কিন্তু সব যদি কিন্তু তিনি মাটি দিয়েছে প্রাপ্ত পেনাল্টি থেকে গোল করতে ব্যর্থ হয়ে।
প্রথমার্ধের ১৭ মিনিটে গোল খেয়ে পিছিয়ে গেলেও দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই পেনাল্টি থেকে গোল করে দলকে ম্যাচে ফেরান অধিনায়ক হ্যারিকেইন। সমতায় থাকা ম্যাচে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ইংলিশ রক্ষণে আক্রমণ শানাতে থাকে ফরাসিরা। যার ফল হাতে হাতে পায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের থ্রু থেকে দুর্দান্ত হেড করে দলকে লিড এনে দেন অলিভিয়ার জিরুড। এরপর এই গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড।
ফল ধরা দেয় ম্যাচের ৮১তম মিনিটে। ডি-বক্সে ইংলিশ ফুটবলারকে ফাউল করলে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি ঘোষণা করেন রেফারি। কিন্তু প্রান্ত স্পটকিকটি হ্যারিকেইন গোলবারের ওপর দিয়ে মারেন। এতে ম্যাচে সমতায় ফেরার শেষ সুযোগ হারায় ইংলিশরা।
ইংল্যান্ডের হতাশার বিপরীতে রোমাঞ্চকর লড়াই জিতে আরেকটি বিশ্বকাপ ফাইনালের দ্বারপ্রান্তে এখন বর্তমান চ্যাম্পিয়ন ফ্রান্স। শেষ চারে ফ্রান্সের প্রতিপক্ষ ইতিহাস গড়া মরক্কো। দুর্দান্ত খেলা অঁতোয়ান গ্রিজমানের দারুণ দুটি অ্যাসিস্টে গোল করেন অরেলিয়ে চৌমেনি এবং অলিভিয়ের জিরুড। কেইন পেনাল্টি থেকে এক গোল শোধ করলেও, অন্য পেনাল্টিটি মিস করেন।
আগামী ১৫ ডিসেম্বর একই ভেন্যুতে ফাইনালে ওঠার লড়াইয়ে নামবে ফরাসিরা। সেখানে তাদের প্রতিপক্ষ মরক্কো। আফ্রিকার প্রথম দল হিসেবে বিশ্বকাপের শেষ চারে জায়গা করে নিয়েছে তারা।
ম্যাচের শুরুর থেকেই আক্রমণে আধিপত্য দেখায় ফ্রান্স। একাদশ মিনিটে জর্ডান পিকফোর্ডের পরীক্ষা নেন অলিভিয়ের জিরুড। অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের ক্রসে তার হেড লুফে নেন ইংল্যান্ড গোলরক্ষক। ছয় মিনিট পর দূরপাল্লার শটে দলকে উল্লাসে মাতান চৌমেনি। বাঁ দিক দিয়ে আক্রমণে উঠে একজনকে কাটিয়ে ডান দিকে বল বাড়ান কিলিয়ান এমবাপ্পে। এরপর গ্রিজম্যান খুঁজে নেন চৌমেনিকে। সামনে ফাঁকা জায়গা দেখে ডি-বক্সের বাইরে থেকে শট নেন তিনি। ঝাঁপিয়ে পড়া পিকফোর্ডকে ফাঁকি দিয়ে বল জড়ায় জালে।
ওই এক গোলের লিড নিয়েই বিরতিতে যায় বর্তমান চ্যাম্পিয়নরা। এরপর বিরতি থেকে ফিরেই ৫৪তম মিনিটে পেনাল্টি থেকে গোল করে ইংল্যান্ডকে ম্যাচে ফেরান হ্যারিকেইন। সমতায় থাকা ম্যাচে গোলের জন্য মরিয়া হয়ে ইংলিশ রক্ষণে আক্রমণ শানাতে থাকে ফরাসিরা। যার ফল হাতে হাতে পায় ফ্রান্স। ম্যাচের ৭৮ মিনিটে অঁতোয়ান গ্রিজম্যানের থ্রু থেকে দুর্দান্ত হেড করে দলকে লিড এনে দেন অলিভিয়ার জিরুড। এরপর এই গোল শোধে মরিয়া হয়ে উঠে ইংল্যান্ড।
ফল ধরা দেয় ম্যাচের ৮১তম মিনিটে। ডি-বক্সে ইংলিশ ফুটবলারকে ফাউল করলে ভিএআরের মাধ্যমে পেনাল্টি ঘোষণা করেন রেফারি। কিন্তু প্রান্ত স্পটকিকটি হ্যারিকেইন গোলবারের ওপর দিয়ে মারেন। এতে ম্যাচে সমতায় ফেরার শেষ সুযোগ হারায় ইংলিশরা।