আজ ৯ ডিসেম্বর। দক্ষিণ খুলনার ঐতিহাসিক কপিলমুনি হানাদার মুক্ত দিবস। রাজাকারদের সাথে টানা ৪ দিনের বিরতিহীন রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষের পর আজকের দিনে রাজাকারদের আত্নসমর্পণ ও জনতার রায়ে কপিলমুনি সহচরী বিদ্যা মন্দিরের মাঠে ১৫৫ জন মতান্তরে ১৫১ জন যুদ্ধাপরাধীকে হত্যার মধ্য দিয়ে পতন ঘটে দক্ষিণাঞ্চলের সর্ববৃহৎ রাজাকার ঘাঁটির।
দিনটি উদযাপনে শুক্রবার (০৯ ডিসেম্বর) বাংলাদেশ মুক্তিযোদ্ধা সন্তান সংসদ পাইলগাছা উপজেলা শাখার আয়োজনে কপিলমুনি বধ্যভূমিতে পুষ্পস্তবক অর্পণ শেষে মহান শহীদদের স্মরণে ১মিনিট নীরবতা পালন করা হয়। এরপর বধ্যভূমি থেকে এক বর্ণাঢ্য র্যালী শুরু হয়ে কপিলমুনি বাজারের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে পুনরায় বধ্যভূমিতে এসে শেষ হয়। এরপর বীরমুক্তিযোদ্ধা ফারুক সরদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, পাইকগাছা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মমতাজ বেগম।
২নং কপিলমুনির ইউপি চেয়ারম্যান মোঃ কওছার আলী জোয়ার্দার, উপজেলা আপয়ামী লীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক আনন্দ মোহন বিশ্বাস, কপিলমুনি কলেজের অধ্যক্ষ হাবিবুল্ল্যাহ বাহার, কপিলমুনি মেহেরুন্নেছা বালিকা বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষিকা রহিমা আক্তার শম্পা, কপিলমুনি প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক আব্দুর রাজ্জাক রাজু, কপিলমুনি ফাজিল ডিগ্রি মাদ্রাসার অধ্যক্ষ আব্দুস সাত্তার, ইউপি সদস্য রবিন অধিকারী সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের শিক্ষক মন্ডলী, বীর মুক্তিযোদ্ধা, স্থানীয় সাংবাদিক, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ উপস্থিত ছিলেন।